ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কোভিডের অবশিষ্ট সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করলেন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের অফিস থেকে বের হচ্ছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত ২৪ নভেম্বর থেকে আরোপিত কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলশনে থাকার নিয়মসহ সমস্ত অভ্যন্তরীণ কোভিড নিষেধাজ্ঞা সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যাহার করেছেন।

পার্লামেন্টে বক্তৃতার সময় জনসন বলেন, যারা কোভিড পজিটিভ বা উপসর্গে ভুগবে তাদের কমপক্ষে ১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এরপর সরকার কোভিড সংক্রমিত বা লক্ষণযুক্ত লোকদের “ব্যক্তিগত দায়িত্বে থাকতে উৎসাহিত করবে”। এ সময় থেকে কোভিড পরীক্ষার জন্য সরকারি অনুদানও বন্ধ হয়ে যাবে।

রানী এলিজাবেথ কোভিড ১৯–এ আক্রান্ত হওয়ায় তার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করেও জনসন রবিবার নিষেধাজ্ঞাগুলো বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, রানির সংক্রমণই প্রমাণ করে যে অতিমারি শেষ হয়নি।

বিজ্ঞানী ও কিছু বিরোধী রাজনীতিবিদ সতর্ক করেছেন যে, সমস্ত পরীক্ষা ও ট্র্যাকিং বন্ধ করার কারণে সংক্রমণের উর্ধগতি মোকাবিলার ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেবে।

জর্ডান

এদিকে জর্ডান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী বিশর আল-খাসাওনেহ সোমবার মিসর সফর গিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তার কোনো দৃশ্যমান উপসর্গ নেই জানিয়ে জর্ডান সরকারের এই মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে আল-খাসাওনেহের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে এবং আম্মানে ফিরে আসার পর প্রধানমন্ত্রীকে আইসোলেশনে রাখা হবে।

অস্ট্রেলিয়া

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোট বলেছেন, “আজ আমরা বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত হলাম”, কারণ দেশটি প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোভিড নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সাধারণ বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।

ইসরাইল

রবিবার ইসরাইল বলেছে যে তারা ১ মার্চ থেকে টিকাবিহীন পর্যটকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে। তবে পর্যটকদের দুটি পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে—একটি প্রস্থানের আগে এবং একটি ইসরাইলে অবতরণের পর।

কোভিড মহামারি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের স্বাস্থ্য ও মৃত্যু হারের ওপর ব্যপক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কীভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য শক্তিশালী পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হয় সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল হেলথ ওয়ার্কফোর্স অ্যালায়েন্সের ডিরেক্টর জেমস ক্যাম্পবেল বলেছেন, “সুরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সুস্থতা বিঘ্নিত হচ্ছে। মহামারির প্রথম ১৮ মাসে, প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯-এ মারা গেছেন।”

জনস হপকিনস করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার সোমবার জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী ৪২৫ মিলিয়নের বেশি লোক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় ৬ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়েছে।

[এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, রয়টার্স এবং এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস সরবরাহকৃত]