কানাডার পুলিশ রবিবার দেশটির রাজধানীর কেন্দ্রস্থল বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। একই সময়ে, কর্মীরা রাস্তায় পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করেন এবং তুষার পরিষ্কারক গাড়িগুলো রাস্তায় জমে থাকা তুষার সরিয়ে দেয়। এর আগে দুই দিন ধরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে, তিন সপ্তাহ ধরে চলা অটোয়ার অবরোধটির সমাপ্তি ঘটে এবং ১৯১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে বিক্ষোভকারীরা শত শত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ী ব্যবহার করে শহরটির কেন্দ্রস্থল অবরোধ করে রেখেছিলেন। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, ৭৬টি গাড়ী টেনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এখনও থেকে যাওয়া কয়েকজন রবিবার একটি রসদের ডিপো গুটিয়ে নেন। তথাকথিত “ফ্রিডম কনভয়” মহাসড়কের কাছাকাছি একটি পার্কিংয়ের জায়গায় সেটি স্থাপন করেছিল, যাতে করে সেটি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে, সংসদের সামনে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীদের, সেখান থেকে রসদ সরবরাহ করা যায়। পুলিশ তাদের উদ্দেশ্যে প্রচারপত্র বিলি করে যাতে উল্লেখ ছিল যে, তারা দ্রুত সেখান থেকে সরে না গেলে, তাদেরকে গ্রেফতার ও জরিমানা করা হতে পারে।
তখনও থেকে যাওয়া কিছু কট্টর বিক্ষোভকারীদের উপর, শনিবার পুলিশ মরিচের গুড়া ছিঁটিয়ে ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে সংসদের সামনের বেশিরভাগটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। শহরের কেন্দ্রস্থলের অন্যান্য জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রাতেই তাদের অবস্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
ইতোমধ্যে গেফতারকৃতরা ৩৮৯টি ভিন্ন ভিন্ন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হতে পারেন। এগুলোর মধ্যে, পুলিশকে বাধাদান, আদালতের আদেশ অমান্য করা , হামলা চালানো, অপকর্ম, অস্ত্রধারণ এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলা এই সব অভিযোগ রয়েছে বলে, অটোয়ার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্টিভ বেল সংবাদকর্মীদের জানান।
অটোয়া ও ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শেষ দুইদিনের বিক্ষোভে, বিক্ষোভকারীরা টেলিভিশনের একাধিক সংবাদকর্মীকে হয়রানি, লাঞ্চিত, ও হুমকি প্রদান করে এবং ধাক্কাধাক্কি করে। বিক্ষোভকারীদের একটি দল শনিবার ভ্যানকুভারের দক্ষিণে একটি সীমান্ত পারাপারের জায়গা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
বেল জানান যে, গণমাধ্যমের একজনের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্ব্যবহারের বিষয়ে একটি ফৌজদারি তদন্ত চলছে। বেল আরও বলেন , “গণমাধ্যম গালাগালি ও অপব্যবহারের শিকার হয়েছে।”