তিউনিসিয়ার স্থগিত পার্লামেন্টের একজন সদস্য ইয়াসিন আয়ারি রয়টার্সকে বলেছেন, শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) একটি সামরিক আদালত তার অনুপস্থিতিতে তাকে প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীকে অবমাননার অভিযোগে ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সংসদ স্থগিত করার জন্য প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে সামরিক অভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ২৫ জুলাই দেশটির সংসদ স্থগিত করাসহ সরকারকে অপসারণ করেন এবং বেশির ভাগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ দখল করেন। তার এই পদক্ষেপের ফলে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
আয়ারির এই কারাদণ্ড বিরোধী দলের আশঙ্কাকে আরও জোরদার করবে যে, সাইদ তার বিরোধীদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চাইছেন। প্রেসিডেন্ট সাইদ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলও ভেঙে দিয়েছেন। এই সংস্থাটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।
আয়ারি একটি ফেসবুক পোস্টে সাইদের কর্মকাণ্ডকে সামরিক অভ্যুত্থান বলে বর্ণনা করেছেন।
"এটা হাস্যকর।...গতকাল সাইদ ব্রাসেলসে বলেছেন যে, তিনি স্বৈরশাসক নন এবং আজ একটি সামরিক আদালত একজন আইন প্রণেতাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কারাদণ্ড দিয়েছে”, প্যারিস থেকে ফোনে রয়টার্সকে আয়ারি বলেছেন।
সাইদের সমালোচকদের অভিযোগ তিনি স্বৈরাচারী ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার এবং আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন।
সাইদ বলেছেন যে, তিনি ২০১১ সালের বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত অধিকার এবং স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখবেন, যে বিপ্লব তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র এনেছে। এই গ্রীষ্মে একটি গণভোটের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান স্থাপন এবং ডিসেম্বরে নতুন সংসদীয় নির্বাচন আয়োজন করারও ঘোষণা দেন তিনি।