নাটোরের লালপুরে অভিযান চালিয়ে ইমো হ্যাকিং চক্রের সন্দেহভাজন চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একাধিক সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে লালপুর উপজেলার মাধবপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- জনি, মিলন, সাজু ও মারুফ।
র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে গ্রাহকদের জিম্মি করতো। বিশেষ করে প্রবাসীদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত।
গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়ান (র্যাব), মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের জন্য অভিযুক্ত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বা এনজিওদের অভিযোগ হচ্ছে যে র্যাব ও বাংলাদেশের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ ব্যক্তির গুম হয়ে যাওয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী। কোন কোন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই সব ঘটনার শিকার হচ্ছে বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।