মামলায় সংশ্লিষ্ট একজন আইনজীবী বলেছেন আদালত আপিল প্রত্যাখ্যান করার পর তুরস্কের ৫জন সাংবাদিক মঙ্গলবার থেকে তাদের কারাভোগ শুরু করেছেন। ২০২০ সালে লিবিয়াতে তুরস্কের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ সম্পর্কিত মামলার বিরুদ্ধে এঁরা আপিল করেছিলেন।
২০২০ সালে গোয়েন্দা সম্পর্কিত তথ্য ও দলিল প্রকাশের দায়ে এই ৫জনকে অভিযুক্ত করা হয়। বিচার চলাকালীন তাদেরকে ৬ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় আটক রাখা হয়।
তুরস্ক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় ঐকমত্যের সরকারকে সামরিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং খলিফা হাফতার পরিচালিত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজধানী ত্রিপোলির ওপর কয়েক মাস ব্যাপী অভিযানে লিবিয়াকে সহায়তা করেছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২জন সাংবাদিককে ৩ বছর ৯ মাস এবং অন্য দুজনকে ৪ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে সাংবাদিক হিসাবে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। আপিল আদালত ২৮শে জানুয়ারী তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।
অভিযোগ অনুযায়ী ইয়েনি চ্যাগ সংবাদপত্রের সাংবাদিক মুরাত এগিরেল, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দেওয়া মন্তব্যের সুত্র ধরে প্রথমে গোয়েন্দা অফিসারদের পরিচয়, তাদের নাম ও ছবি টুইটারে প্রকাশ করে ।
মামলায় একজন আইনজীবী সেলাল উলগেন বলেন, সাংবাদিকেরা তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং এই সব শাস্তিকে সমাজের সকলের প্রতি ভীতি প্রদর্শন বলে অভিহিত করেন। তুরস্কই বিশ্বে সবচাইতে বেশি সংখ্যায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সমালোচকেরা বলেন এরদোয়ান ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুথানের পর আদালত ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছেন। কর্মকর্তারা জানান তুরস্কের আদালত স্বায়ত্বশাসিতভাবে পরিচালিত এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এসব গ্রেফতারের প্রয়োজন ছিল।
তুরস্কের আদালত সাধারণত মামলার রায়ের কথা সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করে না এবং সরকারের তরফ থেকে মঙ্গলবারের রায় সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা হয় নি।
[[রয়টার্স]]