কোভিড-১৯’এর কারণে টোঙ্গায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে  

ফাইল ছবি,ডুবো আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত টোঙ্গার আতাতা দ্বীপাঞ্চল, যেখানে করোনা মহামারীর আশংকা বাড়ছে দ্রুতহারে, ২৮শে জানুয়ারী, ২০ ২২, ছবি/ক্রিস্টোফার জুমলানস্কি/অস্ট্রেলিয়া প্রতিরক্ষা দপ্তর/এপি

জাতিসংঘ, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গায় প্রলয়ংকারী অগ্নুৎপাত ও সুনামির এক মাস পরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দেশটির জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার আবেদন জানাচ্ছে।

১৫ই জানুয়ারী সাগরের তলায় ব্যাপক আগ্নেয়গিরি সুনামির ঢেউ সৃষ্টি করে যা টোঙ্গা দ্বীপটিকে তছনছ করে দেয়। বিদেশী কূটনীতিকেরা জানান প্রাণহানি ও গুরুতর আহত হওয়ার সংখ্যা কম হলেও, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তর ও "বিপর্যয়কর"। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির প্রায় পুরোটাই আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘ দুর্যোগের প্রতি আন্তর্জাতিক সাড়াকে "অভূতপূর্ব" বলে জানায়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আকাশপথে ত্রাণ সাহায্য পাঠিয়েছে।

তবে এই ত্রাণ তৎপরতা ছিল তুলনাবিহীন। টোঙ্গায় কর্তৃপক্ষ দেশটিতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে স্পর্শ ছাড়া বা যোগাযোগবিহীন সাহায্য সরবরাহের আবেদন জানিয়েছিল। সে দেশটিতে গত বছর মাত্র একটি সংক্রমণ রেকর্ড করা হয় এবং এযাবৎ সেখানে কারুর মৃত্যু হয় নি।

তবে সংক্রমণের সংখ্যা এখন বাড়তে শুরু করেছে এবং কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের আশংকার কারণে উদ্ধার তৎপরতা সেখানে ব্যাহত হচ্ছে।

বিভিন্ন গ্রামে নিশ্চিতভাবে ১৪১টি সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও এ বছরের জানুয়ারির ৪ তারিখ পর্যন্ত ১,৩০,০০০ টীকার ডোজ দিয়েছে বলে জানায়।

টোঙ্গার জন্য জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, সানাকা সামারাসিনহা রেডিও নিউজিল্যান্ডকে জানান আন্তর্জাতিক সহায়তা কার্যক্রম অবশ্যই অব্যাহত রাখা হবে।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী টোঙ্গায় ভবন, যাতায়ত ব্যবস্থা এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেশটির বার্ষিক আয়ের ১৮ শতাংশের সমতুল্য।

টোঙ্গার জনসংখ্যা এক লক্ষের কিছু বেশি। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে ২০২০ সালের শুরুতেই টোঙ্গা তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।