যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকেরা শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) হাওয়াইয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসা ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুং ইউই-ইয়ং তিন দেশের যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে কূটনীতিকেরা বলেন, "আমরা একটি ক্রমবর্ধমান জটিল বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রবেশ করছি, আর সে কারণে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। সচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহায়তা বৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর হাজার হাজার সেনার উপস্থিতি এবং কূটনীতিকদের "ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য অটুট সমর্থন বজায় রাখা।" বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "রাশিয়ার আগ্রাসন রোধ করতে দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
আরেকটি উদ্বেগ উত্তর কোরিয়া এবং তার পারমাণবিক কর্মসূচি। কূটনীতিকরা উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের "নিন্দা" করেছেন এবং "এর ফলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।"
বিবৃতিতে সচিব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, তারা "কোরীয় উপদ্বীপে সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা অব্যহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
এই বৈঠকটি ব্লিংকেনের এশিয়া সফরের শেষ ধাপ। তিনি অস্ট্রেলিয়া ও ফিজিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর—অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র—নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেন।