সাবেক স্যান্ডিনিস্টা গেরিলা নেতা এবং বিরোধী রাজনীতিবিদ হুগো টোরেস ৭৩ বছর বয়সে কারাগারে মারা গেছেন বলে শনিবার তার আত্মীয়রা জানিয়েছেন।
২০২১ সালের ধরপাকড়ে আটক হওয়া বিরোধী নেতাদের একটি বড় দলের মধ্যে টোরেসই প্রথম যিনি মারা গেলেন। কারাগারের পরিবেশের কারণে তার দ্রুত মৃত্যু হয়েছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
টোরেস ১৯৭০–এর দশকের স্যান্ডিনিস্টা বিপ্লবের একজন নেতৃস্থানীয় অধিনায়ক (কমান্ডার) ছিলেন। ২০ বছরেরও বেশি আগে স্যান্ডিনিস্টা সংস্কার আন্দোলনের সন্ধানে তিনি প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওরতেগার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন।
টোরেস ৪৬ জন বিরোধী ব্যক্তিত্বের মধ্যে অন্যতম এবং প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন ছিলেন। মে ও জুন মাসে ওরতেগা তাদের জেলে পাঠিয়েছিলেন। যাতে ৭ নভেম্বর প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার পুনর্নির্বাচনের পথ পরিষ্কার হয়।
টোরেসের তিন সন্তান তাদের বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তারা কিছু জানাননি। তারা আরও জানিয়েছেন, তাদের বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী প্রকাশ্যে কোনো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বা আচার-অনুষ্ঠান করা হবে না।
টোরেস একজন গেরিলা অধিনায়ক ছিলেন। নিকারাগুয়ার গৃহযুদ্ধ চলাকালে ওরতেগার সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নিকারাগুয়ার সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে বিদ্রোহীরা জয়লাভ করার পর ১৯৯০–এর দশকে স্যান্ডিনিস্টা পপুলার আর্মিকে নিকারাগুয়ার পেশাদার সেনাবাহিনীতে রূপান্তরের প্রচেষ্টায় তিনি যুক্ত ছিলেন।
তার মৃত্যু ওরতেগার জন্য একটি বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। ১৯৭৪ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক আনাস্তাসিও সোমোজার একজন ঘনিষ্ঠ মিত্রের বাসায় অভিযান চালিয়ে ওরতেগাকে কারাগার থেকে বের করে আনেন টোরেস। এর কয়েক বছর আগে দেশটির রাজধানী মানাগুয়ায় ব্যাংক ডাকাতির একটি ব্যর্থ চেষ্টার কারণে ওরতেগা কারাগারে বন্দী ছিলেন।