যু্ক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত শুক্রবার নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে একটি “জবরদস্তি” মুক্ত অঞ্চল হিসেবে নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এর মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক বিস্তারের বিরুদ্ধে প্রায় খোলামেলা ভাবেই একটি অবস্থান প্রকাশ করল দেশগুলো। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড ও অন্যান্য হুমকি মোকাবেলায়ও দেশগুলোর সর্বোচ্চ কূটনীতিকগণ আহ্বান জানান।
তথাকথিত কোয়াড দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মানবিক ত্রাণ, সন্ত্রাস, সাইবার ও সমুদ্রপথের নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। কোয়াড মূলত ঐ চারটি দেশের একটি অনানুষ্ঠানিক জোট।
জোটটির আওতার বাইরে হলেও, ইউক্রেন বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ও রাশিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সঙ্কটটিও আলোচ্যসূচির বেশ উপরের দিকে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মস্কোর সামরিক তোড়জোড়কে আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন যে কোয়াড এমন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা রক্ষায় কাজ করবে।
বৈঠকটির প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি বলেন, “এর মধ্যে কোন প্রকার জবরদস্তি ছাড়া সকল দেশের নিজেদের পথ বাছাই করার অধিকারটি সমর্থন করার বিষয়টি রয়েছে, এবং তাদের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখন্ডতার প্রতি সম্মানের অধিকার রয়েছে। সেটা এই ইন্দো-প্যাসিফিক-এ হোক, বা ইউরোপে হোক, বা পৃথিবীর অন্য যে কোন জায়গাতেই হোক না কেন।”
বাইডেন প্রশাসন বিশ্বের কাছে এটা প্রমাণ করতে চায় যে, দীর্ঘমেয়াদে এশিয়া-প্যাসিফিকে তাদের কৌশলগত মনোযোগ নিবিষ্ট রয়েছে, এবং পৃথিবীর কোন এক স্থানে একটি গুরুতর পররাষ্ট্রনীতির সঙ্কট তাদের মুখ্য অগ্রাধিকারমূলক নীতি থেকে তাদের বিচ্যুত করতে পারে না।
চীনের সাথে ইন্দো-প্যাসিফিকে সংঘাত অবশ্যম্ভাবী কিনা, শুক্রবার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্লিংকেন বলেন, “কোন কিছুই অবশ্যম্ভাবী নয়”।
তিনি আরও বলেন, “এটি বলা সত্ত্বেও আমি মনে করি আমাদের একটি অভিন্ন উদ্বেগ রয়েছে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন নিজ দেশে ও এই অঞ্চলটিতে আরও বেশি আক্রমণাত্মক আচরণ করছে।”