“দুনিয়া কাঁপানো” অস্ত্রের মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হওয়ার দর্প উত্তর কোরিয়ার

ফাইল- উত্তর কোরিয়ার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি Hwasong-12 ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দেখছেন৷ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।

উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতায় বিশ্বের গুটিকয় দেশের একটি বলে জাহির করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তারা বলে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমের “বিশ্বকে কাঁপিয়ে” তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হওয়ার মতো একমাত্র দেশ।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ঘোষিত উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। এ বছর জানুয়ারি মাসে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নতুন রেকর্ড গড়ে দেশটি। এ সময় নতুন ধরনের “উচ্চতরঙ্গের ক্ষেপণাস্ত্রসহ” কমপক্ষে সাতটি উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, ২০২২ সালে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার “উল্লেখযোগ্য সাফল্য” দেখা গিয়েছে যা উত্তর ক্কোরিয়ার “প্রতিরোধ সক্ষমতা”–কে শক্তিশালী করেছে।

জানতে চাওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর অতীতের বিবৃতি পুনরাবৃত্তি করে বলে যে, তারা উত্তর কোরিয়ার প্রতি কোনো শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব পোষণ করে না এবং সবসময়ই পিয়ংইয়ংকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক অসম্প্রসারণবাদের জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, ৩০ জানুয়ারি হোয়াসং-১২ এর উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার আইসিবিএম-এর বা পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পুনরারম্ভের একটি পদক্ষেপ হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সোমবার উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করতে এবং নিজ দেশের জনগণের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

২০১৯ থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে পিয়ংইয়ংকে তার অস্ত্রাগার বন্ধ করতে বা সীমিত করার বিষয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে আছে।