গিনি বিসাউ-এর প্রেসিডেন্ট অভ্যুত্থানের চেষ্টা প্রতিহত করলেন

ফাইল ছবিঃ গিনি-বিসাউ-এর প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এম্বালো এএফপি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ- হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক রাষ্ট্র যেখানে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। ইতিমধ্যে পশ্চিম আফ্রিকার গিনি, মালি এবং বুরকিনা ফাসোতেও অভ্যুত্থান ঘটে। গিনি-বিসাউ-এ মঙ্গলবারের অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি ও মাদক পাচার কারণে গোলমেলে অবস্থায় রয়েছে।

এর শুরু হয়েছিল যেমনটি তারা প্রায়শই করে থাকে: একটি সরকারী ভবনের বাইরে একঝাঁক বন্দুকের গুলি বর্ষণ করে।আর ঐ ভবনের ভিতরে গিনি বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো তাঁর মন্ত্রীপরিষদের একটি বৈঠক করছিলেন।

তবে ঐ অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা থেকে শারীরিক ও রাজনৈতিকভাবে ইম্বালো যদিও বেঁচে যান তবুও তাকে এবং তার মন্ত্রীদের রক্ষা করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন।

১৯৭৪ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে গিনি বিসাউ-এ চারটি সফল অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং দেশটিতে আরও অনেকবার অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইউরোপে কোকেইনের পাচারের জন্য ২০ লক্ষ জনসংখ্যার এই দরিদ্র দেশটিকে ট্রানজিট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

পশ্চিমা সরকারগুলো বিশ্বাস করে যে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এই বাণিজ্যের সাথে জড়িত।

যদিও মাদক পাচারের সাথে এই অভ্যুত্থানকে যুক্ত করা যেতে পারে তবে ঐ অঞ্চলের অন্যান্য সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানগুলি জিহাদি কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায় ক্রোধই ইন্ধন হিসেবে কাজ করেছে।