মিকং অঞ্চলে ২০০টিরও বেশি নতুন ধরণের প্রজাতি আবিষ্কার : ডব্লিউডব্লিউএফ 

মিকং অঞ্চলে নৌকায় চড়ে ঘুরে দেখছেন পর্যটকরা। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৃক্ষ নিধনের মত মানবসৃষ্ট হুমকির মুখেও, ২০২০ সালে বিজ্ঞানীরা বৃহত্তর মিকং অঞ্চলে ২০০টিরও বেশি নতুন প্রজাতির প্রাণী খুঁজে পেয়েছেন বলে, বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিল বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড অর্থাত্ ডব্লিউডব্লিউএফ এর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়।

সেগুলোর মধ্যে গুহায় বসবাসকারী একটি বর্ণহীন মাছের মত আদিমযুগের প্রাণীও রয়েছে। তাছাড়া একটি বিচিত্র বর্ণের সাপ পাওয়া গিয়েছে যার দেহে অস্বাভাবিক ধরণের আঁশ রয়েছে, যেগুলো মাছের আশেঁর মত একে অপরের উপরে উঠে থাকে না।

সবমিলিয়ে, এই অঞ্চলটিতে ২২৪ ধরণের উদ্ভিদ ও মেরুদন্ডী প্রাণীর প্রজাতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে, ডব্লিউডব্লিউএফ তাদের “নিউ স্পিশিস ডিসকভারিস” নামের প্রতিবেদনটিতে জানায়। অঞ্চলটির মধ্যে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম রয়েছে।

পোপা লাঙ্গুর নামের বানরের ছবি বিশেষ নিয়মে স্থাপন করা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। মধ্য মিয়ানমারের বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট পোপা’র নামে বানরটির এমন নামকরণ করা হয়েছে।

ডব্লিউডব্লিউএফ জানায় যে, ঐ পাহাড়টিতে এখনও প্রায় ১০০ উল্লুকের আবাস আছে, যেটি অন্য যে কোন জায়গার তুলনায় বেশি। এ ধরণের উল্লুক গোপনে ও চক্ষুর আড়ালে থাকতেই বেশি পছন্দ করে।

ধারণা করা হয় যে এ ধরণের মাত্র ২০০ থেকে ২৫০টি বানরই এখনও জীবিত আছে। শিকার, বৃক্ষনিধন ও প্রাকৃতিক বিচরণভূমি কমে যাওয়ার দরুণ এই প্রজাতিটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে রয়েছে।

ভিয়েতনামে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় বিজ্ঞানীরা উজ্জ্বল বর্ণবিশিষ্ট ও শিংওয়ালা মাউন্ট কাই কুয়ান সান নামের ব্যাঙ খুঁজে পান। যেই পাহাড়ের চূড়ায় এগুলোকে পাওয়া গিয়েছে, সেই পাহাড়ের নামেই এদের নামকরণ করা হয়।

ডব্লিউডব্লিউএফ বলে যে, এই অঞ্চলে নতুন নতুন প্রজাতি খুঁজে পাওয়ার হার, এই অঞ্চলটির নাজুক পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বের বিষয়টিই তুলে ধরেছে। ১৯৯৭ সাল থেকে এই অঞ্চলে ৩,০০০ এরও বেশি নতুন ধরণের প্রজাতি আবিষ্কার করা হয়েছে।