ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, মাসের শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ একটি ঐতিহাসিক সফরে যাচ্ছেন। দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর এটি হচ্ছে উচ্চ-পর্যায়ের সর্বসাম্প্রতিক কূটনৈতিক সফর।
হারজোগের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর স্ত্রী, ৩০ থেকে ৩১শে জানুয়ারীর এই সফরের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সাথে দেখা করবেন।
হার্জগ বিবৃতিতে বলেন, "ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের এই প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করে ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ আমাদের আছে।" তিনি আরো বলেন, “ দেশগুলো নতুন একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছে"।
হারজোগের দফতর জানিয়েছে, তার দুবাইয়ের শাসক এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথেও দেখা করার এবং দুবাই এক্সপো পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
বিত্তশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত কয়েক দশকের আরব ঐকমত্য ভেঙে ফেলা এবং ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করার প্রায় ১৬ মাস পরে এই সফরটি হচ্ছে।
এই পদক্ষেপটি আব্রাহাম অ্যাকর্ডস নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থ্যতায় চুক্তির একটি পরম্পরার অংশ ছিল। এই চুক্তিগুলি ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট গত মাসে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন যখন তিনি প্রথম ইসরাইলি সরকার প্রধান হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছিলেন। এই সফর আংশিকভাবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল, যা কিনা ইসরাইলের জন্য শীর্ষ নিরাপত্তার অগ্রাধিকার।
হারজোগ, যার পদ মূলত আনুষ্ঠানিক, তিনি হবেন প্রথম ইসরাইলি রাষ্ট্রপ্রধান যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।
তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন যে দেশগুলির মধ্যে "সাহসী নতুন সহযোগিতা " "মধ্যপ্রাচ্যকে রূপান্তরিত করবে", ইসরাইল আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী আরব দেশগুলির তালিকা বাড়াতে আগ্রহী।