কারাবন্দি ক্রেমলিন সমালোচক আলেক্সেই নাভালনি ও তার সঙ্গীদের “সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদীদের” তালিকায় যুক্ত করলো রাশিয়া। রাশিয়ার সরকার সে দেশের সুশীল সমাজের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত রাখছে ।
২৫ জানুয়ারি রোসফিন নজরদারি সংস্থার রেজিস্টারের নাভালনি এবং তার পাঁচজন সহযোগী - লিউবভ সোবোল, ব্য্যাচেস্লাভ গিমাদি, জর্জি আলবুরভ, লিলিয়া চ্যানিশেভা এবং রুসলান শ্যাভেদিনভ –কে ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী এবং বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন যেমন তালিবান এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে একই কাতারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নাভালনির নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক নেটওয়ার্ক এবং আরো বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে সুশীল সমাজকে কঠোরভাবে দমন হচ্ছে তাদের উপর চলমান অভিযানেরই সর্বসাম্প্রতিক ব্যবস্থা ।
বিষপ্রয়োগে নাভালনিকে হত্যা করার চেষ্টা করা হলে চিকিৎসার জন্য তিনি জার্মানি যান। দেশে ফেরার পর গত এক বছরে এই ক্রেমলিন সমালোচকের সমর্থনে বিক্ষোভের জন্য হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে, যাদের অনেককে জেলে পাঠানো হয়েছে।
তার অর্ধেকেরও বেশি রাজনৈতিক সমন্বয়ক রাশিয়া ত্যাগ করেছে বা তাদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে, অনেককে "সন্ত্রাসী" বা "উগ্রপন্থী" হিসাবে সন্ধান-তালিকায় রাখা হয়েছে। গত বছর নাভালনির সাথে যুক্ত সব প্রতিষ্ঠানকে মস্কো সিটি আদালত ‘উগ্রপন্থী’ ঘোষণা করে।
রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক একটি মামলার প্যারোলের শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে এক দ্রুত বিচারের পর থেকে নাভালনি আড়াই বছর ধরে কারাবাসে রয়েছেন।
নাভালনি তার ওপর বিষ প্রয়োগের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেন। ক্রেমলিন নাভালনির উপর বিষ প্রয়োগে তাদের যে কোন ভূমিকা অস্বীকার করেছে।