পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন আয়েশা মালিক

ইসলামাবাদে বিচারপতি আয়েশা মালিককে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ। [ফটো: এএফপি/পাকিস্তানের প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট (পিআইডি)]

সোমবার পাকিস্তানে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন আয়েশা মালিক। যা দেশটির ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যেখানে প্রায়শই মহিলাদের বিরুদ্ধে নানা রকম আইন কানুন প্রয়োগ করা হয় বলে অধিকার কর্মীরা বলে থাকে।

শপথ গ্রহণের পর মালিক রাজধানী ইসলামাবাদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি এখন থেকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে অন্য ১৬ জন পুরুষ সহকর্মীর সাথে বেঞ্চে বসবেন।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, "আমি বিচারপতি আয়েশা মালিককে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।"

তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "আমি তার শুভ কামনা করছি।"

আইনজীবী এবং নারী অধিকার কর্মী নিঘত দাদ বলেছেন, মালিকের এই পদোন্নতি নিঃসন্দেহে "একটি বড় পদক্ষেপ"।

তিনি এএফপিকে বলেন, "পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার জন্য এটি একটি ইতিহাস"।

মালিক যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করেছেন এবং গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে মালিকের এই পদোন্নতি ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির ঐতিহাসিকভাবে রক্ষণশীল এবং পুরুষ শাসিত বিচার বিভাগে আরও বেশি নারীর প্রবেশের পথ নিশ্চিত করতে পারে।

আইনজীবী ও নারী অধিকার কর্মী খাদিজা সিদ্দিকী বলেন, "তিনি বিচার ব্যবস্থায় সব বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন এবং এর ফলে অন্যান্য নারীদের এগিয়ে যাবার সুযোগ তৈরি হবে।"

কিন্তু তার নিয়োগ নিয়ে বিগত চার মাস ধরে নানা রকম বিতর্কে তৈরি হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই পদের জন্য যোগ্য আরও সিনিয়র পুরুষ প্রার্থীদের পেছনে ফেলে তাঁকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এই মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তান বার কাউন্সিল মালিকের মনোনয়নের প্রতিবাদে ধর্মঘট করেছিল।