জাতিসংঘে ইরানের বকেয়া থাকা ১ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার, দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে থাকা ইরানের ব্যাংকের তহবিল থেকে পরিশোধ করা হয়েছে বলে রবিবার সিউল জানায়। তহবিলটি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে আটক ছিল। আপাতদৃষ্টিতে, ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপের অনুমতি দিয়েছে, যাতে করে জাতিসংঘে ইরানের স্থগিত হয়ে থাকা ভোটাধিকারটি পুনর্বহাল করা যায়।
জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি দল, এ বিষয়ে মতামতের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের সাথে পরামর্শের পর, সিউল তাদের দেশে আটক থাকা ইরানের অর্থ ব্যবহার করে এই বকেয়া পরিশোধ করেছে। এটি বিপর্যস্ত পরমাণু বিষয়ক আলোচনার মাঝে, এক ধরনের নমনীয়তার সম্ভাবনার প্রতি ইঙ্গিত করে।
মন্ত্রকটি জানায় যে তারা আশা করছে, ইরানের ভোটাধিকার অবিলম্বে পুনর্বহাল করা হবে। এই মাসের শুরুর দিকে, চাঁদা বকেয়া থাকার কারণে ইরানের ভোটাধিকার স্থগিত করে জাতিসংঘ।
বিশ্বশক্তিধর দেশগুলোর সাথে তেহরানের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সেই নিষেধাজ্ঞা মোতাবেকই কোরিয়ার একটি ব্যাংক, ইরানের এই তহবিল জব্দ করে। ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার আওতায়, এ ধরনের লেনদেনের জন্য, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোলকে অবশ্যই একটি লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। তবে, এ বিষয়ে মতামতের অনুরোধে, ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া দেয়নি।
বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালের ঐ পরমাণু চুক্তিটি পুনর্বহাল করতে চায়। চুক্তি অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে, তাদের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার শর্ত রয়েছে।