খার্তুম - সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে, সুদানের দ্বিতীয় শক্তিশালী নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগলো শনিবার এক ব্যতিক্রমী সফরে আদ্দিস আবাবায় পৌঁছে, ইথিওপিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আব্রাহাম বেলায় এর সাথে সাক্ষাত্ করেছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সুদানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সুনা (SUNA) জানিয়েছে, হেমেতি নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত, মোহাম্মদ হামদান দাগলো, যিনি সুদানের শাসক পরিষদে দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, তিনি "বেশ কিছু ইথিওপিয়ান কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে" দু’দিনের জন্য ইথিওপিয়ায় অবস্থান করবেন।
সুদানের শাসক পরিষদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইথিওপিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্রাহাম বেলায় আদ্দিস আবাবা বিমানবন্দরে তার সঙ্গে দেখা করেন। ইথিওপিয়ার সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানিয়েছেন, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
দাগলো সুদানের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর প্রধান। আরএসএফ একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী আধাসামরিক ইউনিট, যেটি দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে নৃশংসতার জন্য অভিযুক্ত।
ইথিওপিয়ান কৃষকরা সুদানের দাবিকৃত উর্বর যে জমিতে চাষ করে বিতর্কিত সেই আল-ফাশাকা সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে খার্তুম এবং আদ্দিস আবাবার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু’পক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্ত প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হয়েছে।
আল-ফাশাকার সাথে ইথিওপিয়ার অশান্ত টিগ্রায় অঞ্চলের সীমান্ত রয়েছে, এবং এই সীমান্ত দিয়ে কয়েক হাজার ইথিওপিয়ান শরণার্থী যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পালিয়ে সুদানে প্রবেশ করেছে।
নভেম্বরে, সুদানের সশস্ত্র বাহিনী বলেছিল, ইথিওপিয়ান সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং মিলিশিয়াদের হামলায় তাদের ছয় জন সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে আদ্দিস আবাবা ওই দাবী প্রত্যাখ্যান করে, এবং এ জন্য টিগ্রায় বিদ্রোহীদের দায়ী করেছিল।
মিশরের মতো সুদানেরও নীল নদের উপর ইথিওপিয়ার মেগা-বাঁধ নিয়ে তিক্ত বিরোধ রয়েছে।
ইথিওপিয়া এখনও ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সরকার এবং উত্তরাঞ্চলীয় টিগ্রায় অঞ্চলের প্রাক্তন ক্ষমতাসীন দল, টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) এর মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের ও সংঘাতের অবসান ঘটাতে চায়।
এই লড়াই লক্ষাধিক লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে, এবং জাতিসংঘের হিসাব মতে, কয়েক হাজার মানুষকে অনাহারের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।