ইউক্রেন বিষয়ে জেনিভায় চতুর্থবারের মত মিলিত হলেন ব্লিংকেন ও লাভরভ

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জেনিভায় তাদের বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। ২১ জানুয়ারী ২০২২।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শুক্রবার জেনিভায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ৯০ মিনিটের বৈঠক শেষ করেছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা সরাসরি আলোচনা শুরু করার পর চতুর্থবারের মত এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিত হলেন।

বৈঠকের পর ব্লিংকেন এখন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন।

তারা শুক্রবার তাদের আলোচনা শুরু করার আগে মন্তব্য জানতে চাইলে উভয়ই বলেন শুক্রবারের আলোচনায় কোন অগ্রগতির আশা করছেন না তারা।

লাভরভ বলেন, তিনি আশা করেন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উত্তর দেবে।

ব্লিংকেন বলেন যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি এবং সংলাপের পথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে রাশিয়া যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায় তবে একটি ঐক্যবদ্ধ, দ্রুত এবং কঠোর প্রতিক্রিয়ার জন্যও তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পশ্চিমাদের দাবি রাশিয়া যেন ইউক্রেন সীমান্ত থেকে তাদের সৈন্য ও অস্ত্র সরিয়ে নেয়।ওদিকে মস্কো নেটোকে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপে তার কার্যক্রম কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ইউক্রেনের সদস্যপদ যেন প্রত্যাখ্যান করে তার ওপর জোর দিচ্ছে।

ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার উপর "দ্রুত এবং ব্যাপক" পদক্ষেপ নেবে। তবে তিনি এও বলেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউরোপে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধান বেছে নিতে পারেন।

ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র " সব সময় খুব স্পষ্টভাবে" জানিয়ে এসেছে যে যদি রাশিয়ার কোনো সামরিক বাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে চলে যায় " তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের কাছ থেকে দ্রুত, কঠোর ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।"

বার্লিনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর, ব্লিংকেন বলেন পুতিনের কাছে দুটি পথ রয়েছে "একদিকে সংলাপ ও কূটনীতি এবং অন্যদিকে সংঘর্ষ ও তার পরিণতি। তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন পন্থাটি তিনি বেছে নেবেন।”

ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্তে পুতিনের ১ লক্ষ সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমা দেশ এবং মস্কোর মধ্যে অচলাবস্থার কথা উল্লেখ করে ব্লিংকেন বলেন, “আমরা চূড়ান্ত একটি সিদ্ধান্তের সন্ধিক্ষণে আছি।"

যুক্তরাষ্ট্র যদিও দৃঢ়ভাবে বলছে যে ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক আক্রমণ করলে দ্রুত এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে, তবে যুক্তরাষ্ট্র বা নেটোর তরফ থেকে কোনও সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।কিয়েভ সরকারের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সাইবার আক্রমণ বা অন্যান্য পদক্ষেপের ক্ষেত্রে পশ্চিমারা কী করতে পারে তা স্পষ্ট নয়।