কাজাখাস্তানে বিক্ষোভের পরে সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় হোয়াইট হাউজ এবং জাতিসংঘ বুধবার কাজাখ কর্তৃপক্ষকে সহিংস নাগরিক অস্থিরতা মোকাবেলায় "সংযম" দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেনসাকি বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র "শান্তির আহ্বান" সমর্থন করে, বলেছে যে বিক্ষোভকারীদের "শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে" দেওয়া উচিত এবং কর্তৃপক্ষকে "সংযম অনুশীলন করার" আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘও সব পক্ষকে "সংযম প্রদর্শন , সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে এবং সংলাপ উত্সাহিত করার" আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাটি মধ্য এশিয়ার এ দেশটির ঘটনা "উদ্বেগের সাথে" লক্ষ্য করছে।
কাজাখস্তান বুধবার দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে যখন জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবনে হামলা করে।
সাকি বলেছেন, গণবিক্ষোভের পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত সম্পর্কে রাশিয়ার দাবি একেবারে মিথ্যা এবং এটি স্পষ্টতই রাশিয়ান বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার একটি অংশ।"
বছরের শুরু থেকে দেশটি বিক্ষোভে উত্তাল ছিল, যা বুধবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ করে দেয় এবং এর আগে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সমাবেশের কেন্দ্রস্থল ও বাণিজ্যিক রাজধানী আলমাটি এবং ম্যাঙ্গিস্টাউ প্রদেশে। সেইসাথে রাজধানী নুর-সুলতানেও , যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।
এই সাবেক সোভিয়েট রাষ্ট্রের সবটা জুড়ে এখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে ।