ইসরায়েল বুধবার বলেছে যে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট পুনরায় চালু করার বিষয়টি একটি "মন্দ ধারণা" এবং তা প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের নতুন সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে। অতীতে এটি ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ফিলিস্তিনিদের কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার একটি স্থান ছিল।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বের প্রশাসন জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ইসরাইলের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
এটি ছিল অনেক পদক্ষেপের মধ্যে একটি যা ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করেছে। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যতে তাদের রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন দান এবং কনস্যুলেট পুনরায় চালু করে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ফিলিস্তিনি বিষয়টি ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসই দেখা শোনা করছিল।
এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা মনে করি এটি একটি খারাপ ধারণা," তিনি আরও বলেন, "জেরুজালেম একমাত্র ইসরায়েল এবং ইসরাইলের সার্বভৌম রাজধানী, এবং তাই আমরা এ পদক্ষেপকে ভাল ধারণা বলে মনে করি না।”
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েল সমস্ত জেরুজালেমকে তার অবিভক্ত রাজধানী মনে করে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইল পশ্চিম তীর এবং গাজার সাথে জেরুজালেম শহরের পূর্বাংশ দখল করেছিল।