শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন পাইলট, ক্যাপ্টেন নওশাদ

ক্যাপটেন নওশাদ আতাউল কাইউম

শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন ভারতের নাগপুরে কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ বিমানের সেই পাইলট ক্যাপটেন নওশাদ আতাউল কাইউম। টানা দুই দিন জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ার পর পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়া হয়। এর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ শাখার উপ মহা ব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার। তার মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে। মৃতকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫।

তিনি বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭ নম্বর ফ্লাইট নিয়ে গত শুক্রবার ভোরে ১২২ জন যাত্রী নিয়ে মাস্কাট থেকে ঢাকা আসার মাঝ পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরিভিত্তিতে অবতরণ করায় ১২২ জন যাত্রীর জীবন রক্ষা পায়। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে ক্যাপটেন নওশাদের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।