নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ মঙ্গলবার বলেছেন যে আফগান সামরিক বাহিনীর দ্রুত পতনের জন্য আফগানিস্তানের নেতৃত্ব দায়ী। তিনি এও বলেছেন যে এ ঘটনার পর জোট-এর সামরিক প্রশিক্ষণ পরিচালনা কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
স্টলটেনবার্গ আরো বলেছেন, তালেবানদের আক্রমণের সময় আফগান সৈন্যরা যে গতিতে দুর্বল হয়ে পড়েছিল তা "বিস্ময়কর" ছিল। তিনি স্বীকার করেন যে, নেটোর এ থেকে শেখার আছে।
এদিকে তালেবানদের বিজয়ের প্রতিক্রিয়ায়, রাশিয়া, যারা ২০০৩ সালে তালেবানকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করেছিল, তারা বলেছে যে তারা এখনই নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, মস্কো তালেবান সরকারকে ‘স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছে না’ এবং তিনি আফগানিস্তানের সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানান।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে তালিবান নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে, তুরস্ক তালিবান এবং আফগানিস্তানের অন্যান্য দলের সাথে আলোচনা করছে এবং তালিবানের বার্তার প্রতি তাদের অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
চীন মঙ্গলবার তালিবানকে "মধ্যপন্থী ও ধীর " ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করতে এবং দেশের সব পক্ষকে যুক্ত করে একটি "উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক" রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য উৎসাহিত করেছে।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করেন।
সোমবার হোয়াইট হাউসে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, টেলিভিশনে আফগান নাগরিকদের বিশৃঙ্খলার মধ্যে আটকা পড়ার দৃশ্য, খুবই বেদনাদায়ক- দুঃখজনক । তিনি স্বীকার করেছেন যে, তালিবানরা তার প্রশাসনের ধারণার চেয়ে অনেক দ্রুত দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।