গত দু'বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছেন আইএস বিরোধী জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আইএস জঙ্গিদের যেন পুনরায় উত্তরণ না ঘটে সে বিষয়ে নজরদারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা ।
কূটনীতিকরা এক সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের কার্যক্রম ও নেটওয়ার্ক এবং ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য ইরাক ও সিরিয়ার যেসব অঞ্চলে আইএস বিরোধী জোট সক্রিয় নয় সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করতে পারে, এ কারণে সেখানে কঠোর নজরদারি ও সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন আছে।
জোটটি উদ্বেগের সাথে বলেছে যে, "দায়েশ অর্থাৎ আইএস এবং আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলে আইএস এর সহযোগী সংগঠন ও এদের নেটওয়ার্ক, বিশেষ করে সাহেল অঞ্চল এবং পূর্ব আফ্রিকার মোজাম্বিকের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার হুমকিস্বরূপ। জোটটি বলেছে যে, যে কোনও দেশ, অনুরোধ করলেই আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, জোট সহায়তা করবে।
জোটের বৈঠকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “আমরা একসাথে কাজ করার কারণে, দুর্দান্ত অগ্রগতি সাধন করেছি, সুতরাং আমি আশা করি আপনারা এই লড়াইয়ের উপর নজর রাখবেন এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব যতক্ষণ না তারা নিশ্চিত ভাবে পরাজিত হয়”।
২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে পরাভূত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, এই জোট গঠন করেছিল। এখন ৮৩ টি সদস্য-রাষ্ট্রকে নিয়ে এই জোট কাজ করছে।