এক বছর আগেও, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বরিস জনসনের কার্যকাল স্বল্পস্থায়ী হতে পারে বলে ভাবা হয়েছিল। ব্রেক্সিট এর দুর্দশা এবং বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এবং মহামারী ব্যবস্থাপনায় আকস্মিক বিপরীত পন্থা, কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতাদেরও বিপদে ফেলে দিয়েছিল যে বরিস জনসনের সময়কাল হাতে গোনা যাবে।
এই ধরণের আলোচনা এখন আর ধোপে টিকছে না। সমালোচকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বরিস জনসন আবার ফিরে এসেছেন। সমালোচকরা তাকে সুবিধাবাদী এবং শুধুমাত্র ভাগ্যের জোরে এ যাত্রায় বেঁচে গেছে্ন মনে করে। তবে বরিস জনসনের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান সফল এবং দ্রুত হবার কারনে, পোলস্টার ইউগোভের সর্বশেষ জরিপ অনুসারে জনসনের জন্য জনগনের সমর্থন শতকরা ৪৬ ভাগ।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জনসনের সামনে আরও একটি স্মরণীয় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে: কীভাবে যুক্তরাজ্যকে এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডকে ভেঙে ফেলা থেকে বিরত রাখতে হবে।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্ট এর মতে, “অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ব্রিটেন এখন একতায় দুর্বল”। তাদের বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাবনা বাড়ছে। এর মধ্যে কারণ অনেক, তবে ব্রেক্সিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এবং ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির জন্য জনসনের রাজনৈতিক দলকে দোষ দেয়া হচ্ছে, কারণ তারা দেশের ওপরে তাদের দলকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং কঠোর ভাবে ব্রেক্সিট কে সমর্থন করছে।
স্কটিস এবং উত্তর আইরিশরা কখনই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়তে চায়নি এবং স্কটল্যান্ডের ক্ষেত্রে ইইউতে থাকার জন্য ২০১৬ সালের গণভোটে ভোট দিয়েছে, স্কটল্যান্ডের ক্ষেত্রে ভোট ৬২% থেকে ৩০% পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্যভাবে পড়েছে। স্কটিস জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্ব দানকারী নিকোলা স্টারজিওন ব্রেক্সিটকে এই যুক্তি দিয়ে ব্যবহার করেছে যে স্কটল্যান্ডকে স্বাধীনতার বিষয়ে মতামত রাখার আরেকটি সুযোগ দেয়া উচিত।