ঋণখেলাপি সংস্কৃতির দুষ্টচক্রে পড়ে আছে বাংলাদেশ। প্রতি বছরই ঋণখেলাপির অংক বাড়ছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বসাম্প্রতিক তথ্য মোতাবেক-বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। দেশে এক কোটি টাকার উপরে ১০ হাজার ৪৭৬টি ব্যাংক একাউন্টের বিপরীতে ওই ঋণখেলাপির অর্থ নেয়া হয় বিগত ২০ বছর সময়কালে। বাংলাদেশ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে প্রকৃত ঋণখেলাপির অর্থের পরিমাণ জানতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্টে ঋণখেলাপির প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ঋণখেলাপি ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা আদায়যোগ্য, ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির অর্থ নিয়ে মামলা রয়েছে আদালতে এবং ৩০ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অবলোকিত অর্থাৎ এই অর্থ আদায় আর সম্ভব হবে না বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যে পরিমাণ ঋণখেলাপির অর্থ তা বিগত বছরের বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের অর্ধেকের সমান। কেন এতো বিশাল অংকের অর্থ ঋণখেলাপি হয়ে আছে এবং সামগ্রিক অর্থনীতির উপরে এর নেতিবাচক প্রভাব কেমনভাবে পড়েছে - সে সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত অধিকতর হুমকির মুখে পড়বে। সাথে সাথে অর্থনীতির ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় ঝুকির সৃষ্টি হবে।...ঢাকা থেকে আমীর খসরু
Your browser doesn’t support HTML5