আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর উপ-মহাপরিচালক পদের চূড়ান্ত নির্বাচন অনেকটা নাটকীয়ভাবে স্থগিত হয়ে গেছে।
আফ্রিকান ইউনিয়ন ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জয়ী হতে পারেনি। যদিও পঞ্চম রাউন্ডের ভোটে বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। মঙ্গলবার জেনেভায় সংস্থাটির ভোটের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যক্ষ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বাংলাদেশের প্রার্থীর পক্ষে হ্যাঁ-না ভোট শুরু হয়। উপস্থিত ১৪৪ জন সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ পায় ৮৬টি ভোট। বিপক্ষে পড়ে ৫৭ ভোট।
নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট না পাওয়ায় সংস্থাটির নীতিনির্ধারনী কাউন্সিল ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেয়। একই সঙ্গে বর্তমানে উপ-মহাপরিচালক আইভরিকোস্টের লোরা থমসনকে নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২০ সালে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হক। অভিবাসন বিষয়ে অভিজ্ঞ শহীদুল হক এই সংস্থায় দীর্ঘ ১২ বছর কাজ করেছেন। আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রতিনিধি ছিলেন সুদানের প্রার্থী আশরাফ আল নূর। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘে আইওএম-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৫১ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা হচ্ছে ১৫০-এরও বেশি। ১৯৯২ সালে সংস্থাটি জাতিসংঘে স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করে। ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ ও আইওএম একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী
Your browser doesn’t support HTML5
আইওএম-এর নির্বাচন স্থগিত