ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে হিন্দি ভাষা আবশ্যিক করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
গত শনিবারেই ভারতের জাতীয় শিক্ষা নীতির ২০১৯ সালের খসড়া প্রস্তাবে ত্রিভাষা সূত্র পেশ করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে মাতৃভাষার সঙ্গে হিন্দি আর ইংরেজি ভাষা শিক্ষা হবে আবশ্যিক। আর হিন্দিভাষী রাজ্যে হিন্দি তো থাকবেই, তা ছাড়াও ইংরেজি ও অন্য কোনও রাজ্যের একটি ভাষা শিখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে সারা ভারত জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি বলে, জোর করে তাদের ওপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।
কলকাতায় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, এই নীতি সমর্থন যোগ্য নয়। তবে গেরুয়াকরণের আগে থেকেই হিন্দি চাপানোর চেষ্টা চলছে। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, খুব খারাপ নীতি। সংবিধানে সবকটি ভাষার সমান মর্যাদা। হিন্দি তো রাষ্ট্রভাষা নয়! এই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার এক বিবৃতিতে হিন্দিকে ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ কেউ ইচ্ছে করলে হিন্দি শিখতে পারে, তবে শিখতেই হবে, এমন নয়। দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা
Your browser doesn’t support HTML5