অক্সফামের রিপোর্ট- পোশাক শ্রমিকরা কষ্টে আছে

বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের প্রতি ঘন্টায় মজুরি দেয়া হয় মাত্র ৫১ সেন্ট। বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪২ টাকা। এই মজুরি দিয়ে পোশাক শ্রমিকরা তাদের মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে পারে না। অনেকে অর্থাভাবে না খেয়েও দিন কাটায়।

বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের প্রতি ঘন্টায় মজুরি দেয়া হয় মাত্র ৫১ সেন্ট। বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪২ টাকা। এই মজুরি দিয়ে পোশাক শ্রমিকরা তাদের মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে পারে না। অনেকে অর্থাভাবে না খেয়েও দিন কাটায়।

দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। মেইড ইন পোভার্টি শীর্ষক ওই রিপোর্টে অক্সফাম বলেছে বাংলাদেশের মতো আরেক পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনামের শ্রমিকরাও একই রকমের দূরাবস্থায় জীবনযাপন করছে। ৪৭০ জন গার্মেন্ট শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে সংস্থাটি লিখেছে বাংলাদেশের প্রায় শতভাগ শ্রমিক তাদের প্রাপ্ত মজুরি দিয়ে মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে পারে না।

ভিয়েতনামের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। সেখানকার ৭৪ শতাংশ শ্রমিক তাদের মজুরি দিয়ে চাহিদা মেটাতে পারে না। অক্সফাম যে সব শ্রমিকদের সাক্ষাতকার নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে তাদের সবাই অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ব্রান্ডগুলোর জন্য পোশাক রফতানি করে থাকে। এ বিষয়ে অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান হেলেন সোক গবেষণা টিমকে বলেছেন, এই তদন্তে ব্যাপকহারে শ্রমিকদের বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের কম মজুরি দেয়ার ঘটনা উন্মোচন করেছে। এত কম মজুরিতে শ্রমিকরা কাজ করতে পারে না।

বেশি সমস্যা হচ্ছে নারী শ্রমিকদের। তারা না পারে খাবার কিনতে। থাকে ঘিঞ্জি বাসায়। মায়েরা সন্তানের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেন কল্পনা আকতার। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কাস সলিডারিটির এই নির্বাহী পরিচালক মনে করেন, অক্সফামের রিপোর্টটি শতভাগ সঠিক। সাম্প্রতিক বেতন বৃদ্ধির পরও অবস্থা তেমন পাল্টায়নি।

রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন পোশাক শ্রমিকেরই নিজের ও পরিবারের জন্য পর্যান্ত খাবার কেনার মতো সামর্থ্য নেই। বাধ্য হয়ে তারা ঋণ নেয়। কিংবা অনাহারে থাকে। ৭২ শতাংশ শ্রমিকের চিকিৎসা নেয়ার মতো অবস্থা নেই।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী

Your browser doesn’t support HTML5

অক্সফামের রিপোর্ট- পোশাক শ্রমিকরা কষ্টে আছে