প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই গতকাল মঙ্গলবার আগাম আঁচ অনুমানে বলেছেন, ভবিষ্যদ্বানী করেছেন এই বলে যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দারুন একটা বানিজ্য সম্পর্ক গড়ে উঠবে – তবে, ওটা হবে আগের প্রেসিডেন্টদের আমলে যেমনটি কিনা হয়ে এসেছিলো তার থেকে ভিন্নতরো আদলের।
আমন্ত্রিত একদল বানিজ্যপতির সমাবেশে বক্তব্য উপস্থাপনকালে ট্রাম্প বলেন – চীন ভালো করুক সেটাই তাঁর কাম্য – তবে একই সঙ্গে তিনি এটাও চান যে, চীন যেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যায়ানূগ আচরনের নীতি অনুসরন ক’রে চলে।
ট্রাম্প প্রায় প্রায়ই উচ্চকিত কণ্ঠে বলে এসেছেন - চীনের সঙ্গে ভারসাম্যহিন যে বানিজ্য সম্পর্ক চ’লে এসেছে, এ্যামেরিকার শ্রমিক মজদুরদের ফায়দা হবে এমনিভাবে তিনি সেটার খোলনলচে বদলাতে চান। চীনের রফতানী করা দ্রব্য সামগ্রীর ওপর তিন হাজার কোটি ডলারেরও বেশি নতুন শুল্ক ধার্য করেছেন তিনি। এবং এই মঙ্গলবার তাঁর প্রশাসন বলেছে- আরো এক হাজার ছ’ শো কোটি ডলারের শুল্ক ধার্য করা হবে, পরে এমাসের শেষের দিকে।
চীন ব’লেছে- পাল্টা ব্যবস্থায় তারাও হাজার হাজার ডলারের শুল্ক বসানোর চিন্তাভাবনা ক’রছে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানী সামগ্রীর ওপরে। একই সঙ্গে তারা এই মঙ্গলবারেই তাদের বানিজ্য পরিসংখ্যানের খতিয়ান প্রকাশ করেছে যাতে দেখা গিয়েছে জুলাই মাসে রফতানীর পরিমান তাদের বেড়েছে আগের চেয়েও – যুক্তরাষ্ট্রের তরফের পদক্ষেপ সত্বেও।
জন্স হপকিন্স য়ুনিভার্সিটীর ফলিত অর্থনীতির শিক্ষক এবং রেগান শাসনামলের প্রাক্তন এক বানিজ্য কর্তা পল হ্যাঙ্কী ভয়েস অফ এ্যামেরিকাকে বলেছেন – চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বানিজ্য ঘাটতি সেটা কোনো সমস্যাই নয়। এ পরিস্থিতিকে তিনি জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ শ’ ৮০-র দশকে বানিজ্য ঘাটতির যে পরিস্থিতি ছিলো সেই তার তুলনা ক’রেছেন – যে সম্পর্কের কারণে রনাল্ড রেগ্যান, এখন ট্রাম্প যেটার সমর্থনে উদ্যোগ নিচ্ছেন সেই তারই আদলে রক্ষণশীল বন্দোবস্তের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পল হ্যাঙ্কী বলেন – তবে জাপান যাই করেছিলো চীন কিন্তু চার চেয়ে অনেক বেশি কড়া পাল্টা ব্যবস্থা নেবে - বলেন, চীন একটা মহাবলী দেশ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা শেয়ানে শেয়ানে টেক্কা দেবে। অতএব পরিস্থিতি তুলনামুলকভাবে খারাপই হবে, ভালো নয়।