মানবাধিকার সংগঠন Human Rights Watch ২০১৮ সালের তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন ছেপেছে। তারা রাজনৈতিক নেতাদের তাদের কথায়, কর্তৃত্ববাদী, সস্তা জনপ্রিয় কর্মসূচির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
হিউমান রাইটস ওয়াচের, নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ বলেন যে গত বছরে দেখা গেছে যুক্তিবিহিন বক্তৃতাবাগিশ নেতা এবং তাদের ক্ষতিকর নীতির ফলে সৃষ্ট হুমকির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোটা গুরুত্বপূর্ণ।
রথ কর্তৃত্বপরায়ণ এই সব সস্তা জনপ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক কি চায় সে রকম আত্মতুষ্টকারি ব্যাখ্যা দিয়ে গণতন্ত্রকে মানে, অধিকার ও আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত সরকারকে, সরিয়ে দিতে চায়।
এই বার্ষিক রিপোর্টে এ ধরণের সস্তা জনপ্রিয়তার বিরুদ্ধে, সফল প্রতিরোধের দৃষ্টান্ত হিসেবে ফ্রান্সের কথা বলা হয়েছে যেখানে প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্র উদারপন্থি, ইউরোপ পন্থি নীতির পক্ষে মারিন লা পেনের নের্তৃত্বধীন অতি দক্ষিণ পন্থি ন্যাশনাল ফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচার অভিযান চালিয়ে জয়ী হন। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম মাসগুলোতে তাঁর কাজের মিশ্র রেকর্ড দেখা যায় যার মধ্যে তাঁর সন্ত্রাস বিরোধী নেতা এবং প্রায় নীরবে চীন সফর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল।
হিউমান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে, তাদের কথায় অভিবাসন বিরোধী, বর্ণ বৈষম্যবাদী এবং মাদক অনুগামি নীতিমালা গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে দোষারোপ করেছে তবে বলছে যে সাংবাদিক, আইনবিদ, বিচারক এবং ট্রাম্পের নিজের দলের নির্বাচিত সদস্যরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
তবে হোয়াইট হাউজ বার বার বলেছে যে অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচিত হন। তিনি বর্ণবাদি মতবাদ পোষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।