রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন নিজের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডিলিট সম্মানে ভূষিত হলেন তখন তার কন্ঠে আবেগ, অন্যদিকে সেই সম্মান নিয়ে বিরোধীদের নিরন্তর সমালোচনা। এই প্রেক্ষাপটেই ডি লিট প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ঝরে পড়ল আবেগ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আমায় একটা সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করছেন, সেটা নিয়েও কম অসম্মানিত করার চেষ্টা হয়নি। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাত হয়েছে। দ্বন্দ্বে ছিলাম যাব কি যাব না। এপ্রসঙ্গে তিনি বললেন----আবার উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের গলায় ঝরে পড়ল কটাক্ষ। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, অসম্মানের ডিলিট। ওনার কোনও যোগ্যতা নেই। ঘুষ দিয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হল।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডি’লিট পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ঊন্নিশো আটানব্বই সালে সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয় চৌধুরীকেও সাম্নানিক ডিলিট দেয়।এই উদাহরণ তুলে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জ্যোতিবাবুও তো পেয়েছিলেন। আমরা যা করব প্রশ্ন উঠবে। এটা আমাদের ব্যাপার নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপার। ভাবনাচিন্তা করে দিয়েছে। দেওয়াটা ভাল কাজ।এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জুগোপাল মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। কী কারণে ডিলিট দেওয়া হচ্ছে, সেটাও স্পষ্ট নয়।
Your browser doesn’t support HTML5