বাংলাদেশের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের দুর্বল দিকগুলো নিয়ে সমালোচনা

বাংলাদেশে সরকার বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের খসড়ার যে চূড়ান্ত অনুমোদন বৃহস্পতিবার দিয়েছে তাতে বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীর বিয়ের যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তাঁর কড়া সমালোচনা করেছেন সমাজ বিজ্ঞানী এবং মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মীরা।। তাঁরা বলেছেন ওই খসড়া আইনে বিশেষ প্রেক্ষাপটে কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ১৮ বছরের নিচের বয়সের নারীদের বিয়ের যে সুযোগ রাখা হয়েছে তা সংবিধান পরিপন্থী । তারা বলেন বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের বিয়ের বিধান সহ আইনটি পাশ হলে হুমকির মুখে পড়বে নারীর সামগ্রিক অধিকার। পাশাপাশি বাল্যবিবাহকে বিশেষ ক্ষেত্রে বৈধতা দেয়ার সুযোগে নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পার পাবার সংখ্যাও বাড়বে বলে তাঁরা মনে করেন। তাঁরা অভিযোগ kরেছেন বাল্যবিবাহ বন্ধ করার ব্যর্থতাকে আড়াল করেতে সরকার এই বিশেষ প্রেক্ষাপটের আশ্রয় নিয়েছে। সমাজ বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাসুদা এম রাশেদ চৌধুরী ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে যদি বিশেষ প্রেক্ষাপটের মত বিধান রাখা হয় তাতে তাদের অধিকার যেমন ক্ষুণ্ণ হবে তেমনি এটা হবে নারীদের জন্য একটি অপমানকর বিষয়। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সুলাতানা কামাল বলেন আইনটির বিশেষ বিধানেরে ফলে অন্যের অন্যায় আচরণের ভার নারীকে বহন করতে হবে যা গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। নারী নেত্রীরা অভিযোগ করেন বিশেষ ক্ষেত্রে নারীদের বিয়ের বয়সও নির্ধারণ না করার ফলে এ বিধানের অপব্যবহারের সুযোগ আইনেই থেকে যাবে এবং আইনটি অর্থহীন হয়ে পড়বে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিয়ের সর্বনিন্ম বয়স নারীদের জন্য ১৮ বছর এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ বছর বেধে দিয়ে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা । তবে আইনটিতে বিশেষ প্রেক্ষাপটে কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের বিয়ের বিধান রাখা হয়েছে ।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে জহরুল আলম