আমেরিকার স্কুল কলেজে গরমকালের ছুটির সময়টা বেশ লম্বা - প্রায় আড়াই মাস । এই আড়াই মাসে ছেলেমেয়েরা অনেক কাজ কর্ম করে, কেউ বা আত্মীয় স্বজনের বাড়ী বা অন্য কোথাও বেড়াতে যায় । তবে সামার ক্যাম্প বা গ্রীষ্মকালীন শিবিরে আবার অনেক কিছুই শেখার থাকে ।
আজকের যুবসংবাদে সে বিষয়েই আলোচনা করছেন রোকেয়া হায়দার।
আমেরিকায় দিনে দিনে বর্ষিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে, তাই বেড়ে চলেছে তাদের দেখাশোনা-পরিচর্যার প্রয়োজন। এবার গরমের ছুটিতে, ভার্জিনিয়ার ওয়ারেনটনে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য পরিচর্যার এক প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সামার ক্যাম্প কর্মসুচীতে -ফকিয়ের হাসপাতালে ছেলেমেয়েরা হাতে কলমে স্বাস্থ্য পরিচর্যার কাজ শিখেছে। ওয়েণ্ডি গ্রীনউড হলেন এই কর্মসুচীর প্রশিক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমি যদি দেখি যে তোমরা কোন জায়গায় দূষণ ছড়াচ্ছো তা হলে তোমাদের সে কথা বলতে হবে’।
ওয়েণ্ডি পাঁচজন কিশোর বয়সীদের নিয়ে দূষণমুক্ত পরিবেশে কাজ শেখাচ্ছেন। তাদের বলা হয়, তারা হাতে যে দস্তানা পরে রয়েছে সেই হাত মুখে চোখে না দেয়। পাঁচ কিশোরী সার্জারী কক্ষে কাজ করার জন্য যে সবুজ রঙের এ্যাপ্রন পরা করা হয়, তা পরে রয়েছে। তাদেরকে ঠিক স্বাস্থ্য কর্মীদের মত দেখাচ্ছে। পেশাদার স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতিদিন যেভাবে কজ করেন, তারা সেইভাবেই কাজ শিখছে। ওয়েণ্ডি বললেন, ‘তোমরা যা শিখবে তা হলো দেহে কি ভাবে কোন কাটা ছেঁড়ার পর সেলাই করতে হয়’।
ওয়েন্ডিগ্রীনউড ফকিয়ের হাসপাতালের নার্স। তিনি জানান, তিনি স্বাস্থ্য সেবার কাজ করার আগে কখনও দেহে কি ভাবে সেলাই করতে হয়, তা জানতেন না। যাই হোক পাঁচবছর আগে তিনি ও তার এক সহকর্মী মিলে এই সামার ক্যাম্প শুরু করেছেন, যাতে করে কিশোর তরুনরা স্বাস্থ্য সেবায় উত্সাহী হয়, এগিযে আসে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম কোন কাজ শেখালে ভাল হয়। কি করলে তা খুবই আগ্রহউদ্দীপক হবে, সেইসঙ্গে একটা বিশেষ কাজও শেখা যাবে’।
তারা ভেবে দেখলেন দেহে কোথাও কেটে গেলে যদি সেলাই করার প্রয়োজন হয়, বা এমার্জেন্সি বিভাগে ওই ধরণের কিছু লাগে সেই কাজ শেখানোই ভাল।
এ বছর যারা সামার ক্যাম্পে কাজ করছে, তারা গত বছরও সেই কাজে জড়িত ছিল তাই শিংঝ্যাংএর মত সবাই ত্বক সেলাই অথবা সামান্য হাড় সরে যাওয়ার চিকিত্সায় বেশ আগ্রহী। শিং যেমন জানালো – ‘এ বছর আমরা আরও বেশী শিখলাম যেমন কি ভাবে সেলাই না করে স্টেপ্ল করতে হয় সেটা শিখলাম’।
ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের কাজ শেখানো হয়। যেমন ধরুন বলা হয়, এমার্জেন্সি রুমে গাড়ী দূর্ঘটনায় আহত কেউ এসেছে, তাদেরই একজনকে মাঝখানে বসানো হয়, এবং তার জরুরী চিকিত্সা শুরু করা হয়। আহত মেয়েটির যথাযথ চিকিত্সা করা শেখানো হয়।
শ্রেয়াস গার্গা জানালো গত বছরের চিকিত্সা শিবিরে কাজ করে সে ঠিক করে নিয়েছে ভবিষ্যতে সে কি করতে চায়। ‘গত বছর প্রাথমিক পর্বে আমি যখন দেহে সেলাই করা, জোড়া লাগানো শিখলাম, তখনই মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি সার্জন হবো’।
এই গ্রীষ্মকালীন চিকিত্সা শিবিরের প্রাথমিক পর্যায়ে এখনই বলা কঠিন এই কর্মসুচী কতখানি কার্যকর হবে, এই কর্মসুচীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই কিন্তু দুজন কলেজে ডাক্তারী পড়া শুরু করেছে। আর চমত্কার এই কর্মসুচী এখন আড়াই মাসের ছুটির মধ্যে দুবার অনুষ্ঠিত হয়।
আজকের যুবসংবাদে সে বিষয়েই আলোচনা করছেন রোকেয়া হায়দার।
Your browser doesn’t support HTML5
ওয়েণ্ডি পাঁচজন কিশোর বয়সীদের নিয়ে দূষণমুক্ত পরিবেশে কাজ শেখাচ্ছেন। তাদের বলা হয়, তারা হাতে যে দস্তানা পরে রয়েছে সেই হাত মুখে চোখে না দেয়। পাঁচ কিশোরী সার্জারী কক্ষে কাজ করার জন্য যে সবুজ রঙের এ্যাপ্রন পরা করা হয়, তা পরে রয়েছে। তাদেরকে ঠিক স্বাস্থ্য কর্মীদের মত দেখাচ্ছে। পেশাদার স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতিদিন যেভাবে কজ করেন, তারা সেইভাবেই কাজ শিখছে। ওয়েণ্ডি বললেন, ‘তোমরা যা শিখবে তা হলো দেহে কি ভাবে কোন কাটা ছেঁড়ার পর সেলাই করতে হয়’।
ওয়েন্ডিগ্রীনউড ফকিয়ের হাসপাতালের নার্স। তিনি জানান, তিনি স্বাস্থ্য সেবার কাজ করার আগে কখনও দেহে কি ভাবে সেলাই করতে হয়, তা জানতেন না। যাই হোক পাঁচবছর আগে তিনি ও তার এক সহকর্মী মিলে এই সামার ক্যাম্প শুরু করেছেন, যাতে করে কিশোর তরুনরা স্বাস্থ্য সেবায় উত্সাহী হয়, এগিযে আসে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম কোন কাজ শেখালে ভাল হয়। কি করলে তা খুবই আগ্রহউদ্দীপক হবে, সেইসঙ্গে একটা বিশেষ কাজও শেখা যাবে’।
তারা ভেবে দেখলেন দেহে কোথাও কেটে গেলে যদি সেলাই করার প্রয়োজন হয়, বা এমার্জেন্সি বিভাগে ওই ধরণের কিছু লাগে সেই কাজ শেখানোই ভাল।
এ বছর যারা সামার ক্যাম্পে কাজ করছে, তারা গত বছরও সেই কাজে জড়িত ছিল তাই শিংঝ্যাংএর মত সবাই ত্বক সেলাই অথবা সামান্য হাড় সরে যাওয়ার চিকিত্সায় বেশ আগ্রহী। শিং যেমন জানালো – ‘এ বছর আমরা আরও বেশী শিখলাম যেমন কি ভাবে সেলাই না করে স্টেপ্ল করতে হয় সেটা শিখলাম’।
ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের কাজ শেখানো হয়। যেমন ধরুন বলা হয়, এমার্জেন্সি রুমে গাড়ী দূর্ঘটনায় আহত কেউ এসেছে, তাদেরই একজনকে মাঝখানে বসানো হয়, এবং তার জরুরী চিকিত্সা শুরু করা হয়। আহত মেয়েটির যথাযথ চিকিত্সা করা শেখানো হয়।
শ্রেয়াস গার্গা জানালো গত বছরের চিকিত্সা শিবিরে কাজ করে সে ঠিক করে নিয়েছে ভবিষ্যতে সে কি করতে চায়। ‘গত বছর প্রাথমিক পর্বে আমি যখন দেহে সেলাই করা, জোড়া লাগানো শিখলাম, তখনই মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি সার্জন হবো’।
এই গ্রীষ্মকালীন চিকিত্সা শিবিরের প্রাথমিক পর্যায়ে এখনই বলা কঠিন এই কর্মসুচী কতখানি কার্যকর হবে, এই কর্মসুচীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই কিন্তু দুজন কলেজে ডাক্তারী পড়া শুরু করেছে। আর চমত্কার এই কর্মসুচী এখন আড়াই মাসের ছুটির মধ্যে দুবার অনুষ্ঠিত হয়।