অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লিবিয়ার উপকূল থেকে ২৮ জন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার


ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে অভিবাসী বোঝাই একটি কাঠের নৌকা কুলে ভিড়তে সহায়তা করছেন সাহায্য কর্মীরা। (ফাইল ফটো- এপি)
ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে অভিবাসী বোঝাই একটি কাঠের নৌকা কুলে ভিড়তে সহায়তা করছেন সাহায্য কর্মীরা। (ফাইল ফটো- এপি)

অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলে ২৮ জন অভিবাসীর মৃতদেহ ভেসে এসেছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিবাসন যাত্রাপথে এটিই সর্বসাম্প্রতিক দুর্ঘটনা।

সূত্রটি জানায় ত্রিপলি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৫ মাইল) দূরে “লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট নিহত অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ২৮ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এবং আল-আলুস-এর সৈকতের দুইটি ভিন্ন জায়গায় তিনজনকে জীবিত খুঁজে পাওয়া গিয়েছে”।

পরবর্তী কয়েক ঘন্টায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “মৃতদেহগুলির পচন দেখে মনে হচ্ছে যে নৌকাটি বেশ কিছুদিন আগে ডুবেছিল”।

লিবিয়ার গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবিতে মৃতদেহগুলিকে লাশ বহনকারী ব্যাগে সারিবদ্ধভাবে সৈকতে রাখা অবস্থায় দেখা যায়।

ইউরোপে পৌঁছানোর প্রাণান্তকর চেষ্টায় আফ্রিকা ও এশিয়ার অভিবাসন-প্রত্যাশীদের জন্য এক দশক ধরে সংঘাত ও অরাজকতায় জর্জরিত লিবিয়া একটি প্রধান বহির্গমন পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অভিবাসীরা প্রায়শই লিবিয়ায় দুর্বিষহ অবস্থা সহ্য করার পর অতিরিক্ত যাত্রীবহনকারি, সমুদ্রযাত্রার অনুপযোগী নৌকায় করে উত্তর দিকে পাড়ি জমান। এই নৌকাগুলো প্রায়শই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় বা ডুবে যায়।

মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে একই রকমের কয়েকটি ঘটনায় ১৬০ জন অভিবাসন-প্রত্যাশী নিহত হওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই এই সর্বসাম্প্রতিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) -এর মতে এর ফলে এই বছর নিহতের সংখ্যা ১,৫০০ তে দাঁড়িয়েছে।

আইওএম এর তথ্যসূত্রে একই সময়ে ৩০,০০০-এর বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে যাত্রাপথে আটকে লিবিয়াতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ইউরোপিয় উপকূলে আগমনকারী অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার উপকূল রক্ষীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

ফেরত যাওয়ার পর অনেক অভিবাসন-প্রত্যাশীকেই আটক কেন্দ্রে আরও দুর্বিষহ অত্যাচারের শিকার হতে হয়।

XS
SM
MD
LG