শুক্রবার জাপানের ওসাকা শহরের একটি মানসিক রোগ চিকিৎসা ক্লিনিকে আগুন লাগার পর অন্তত ২৭ জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম বলছে পুলিশ সন্দেহজনক এই অগ্নিসংযোগের তদন্ত করছে।
ওসাকার সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন প্রায় ২৭ জন মানুষ কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্টের (হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ও শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া) কারণে মারা যান। জাপানে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যু নিশ্চিত করার আগে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।কর্মকর্তা জানিয়েছেন ঐ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
সেখানকার আসাহি টিভি জানিয়েছে, হাসপাতালে নয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
তদন্তে জড়িত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে এক ব্যক্তি ঐ ভবনটিতে আগুন লাগিয়েছে এমন খবরের সত্যতা যাচাই সহ পুলিশ সন্দেহজনক এই অগ্নিসংযোগের তদন্ত করছে।
ইয়োমিউরি সংবাদপত্র জানিয়েছে একজন বয়স্ক ব্যক্তি ভবনটিতে একটি ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন যার ফুটো দিয়ে তরল দাহ্য পদার্থ গড়িয়ে পড়ে এবং জ্বলে ওঠে। মাইনিচি পত্রিকা জানিয়েছে ওই ব্যক্তি ক্লিনিকের একজন রোগী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সকাল ১০টায় খোলার কিছুক্ষণ পরেই একটি বহুতল অফিস ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত ক্লিনিকটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এনএইচকে জানিয়েছে ৩০মিনিটের মধ্যে বেশিরভাগ আগুন নেভানো হয়।
এনএইচকে-এর ভিডিওতে দেখা গেছে, চতুর্থ তলার জানালা এবং ছাদ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফুটেজে পরে দেখা গেছে, জানালাগুলো কালো হয়ে গেছে এবং পুড়ে গেছে।
ঐ এলাকায় একটি কোম্পানিতে কর্মরত ৩৬ বছর বয়সী এক নারী কিয়োডোকে জানান, "আমি যখন বাইরে তাকালাম দেখলাম ভবনের চতুর্থ তলার জানালায় কমলা রঙের আগুনের শিখা। এক নারী ষষ্ঠ তলার জানালা থেকে সাহায্যের জন্য হাত নাড়ছিলেন।"
এনএইচকে জানিয়েছে ওসাকার প্রধান ট্রেন স্টেশন এর কাছে একটি শপিং ও বিনোদন এলাকায় অবস্থিত ভবনটিতে একটি বিউটি সালন, একটি কাপড়ের দোকান এবং একটি ইংরেজি ভাষার স্কুল রয়েছে।