অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতিতে অনুশীলন করলো রাশিয়ার নৌ বাহিনী


ফাইল - রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রেস সার্ভিসের দেয়া একটি ভিডিও থেকে এই ছবি নেয়া হয়েছে। রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজগুলি কৃষ্ণ সাগরে ক্রাইমিয়ার উপকূলের কাছে মহড়ায় অংশ নেয়৷(ছবি-এপি/রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক)
ফাইল - রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রেস সার্ভিসের দেয়া একটি ভিডিও থেকে এই ছবি নেয়া হয়েছে। রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজগুলি কৃষ্ণ সাগরে ক্রাইমিয়ার উপকূলের কাছে মহড়ায় অংশ নেয়৷(ছবি-এপি/রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক)

রাশিয়ার নৌ বাহিনী ব্ল্যাক সি বা কৃষ্ণ সাগরে মঙ্গলবার সামরিক অনুশীলন করেছে। ঐ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মস্কো এই অনুশীলন করে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার বলেন রাশিয়ার বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কমান্ড জাহাজ ইউএসএস মাউন্ট হুইটনিকে " দূরবীনের মাধ্যমে বা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে" পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছে। পুতিন রাশিয়ার সীমান্তের কাছে নেটোর কার্যকলাপ সম্পর্কে অভিযোগ করেন।

ইন্টারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে মঙ্গলবার ব্ল্যাক সি ফ্লিট জানিয়েছে তাদের জাহাজগুলি শত্রুকে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করার মহড়া দিয়েছে এবং তাদের আকাশসীমা প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলি নভোরোসিস্ক এবং দখলকৃত ক্রাইমিয়ার ঘাঁটিতে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে "তারা তাদের বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং কামান দিয়ে আকাশে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে।"

রাশিয়া এর আগেও পশ্চিমা দেশগুলিকে কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর বিরুদ্ধে এবং ক্রাইমিয়ার উপকূলের কাছে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে এই উপদ্বীপটিকে তাদের ভেতর যুক্ত করে নেয়। রাশিয়া ক্রাইমিয়াকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে বিবেচনা করে, তবে উপদ্বীপটি আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেনের অংশ হিসাবে স্বীকৃত।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী সোমবার জানিয়েছে যে ইউএসএস মাউন্ট হুইটনি ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে এবং এটি শীঘ্রই কৃষ্ণ সাগরে অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে বাহিনীতে যোগ দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে "সমুদ্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্য ঐ বন্দর পরিদর্শনের পর, মাউন্ট হুইটনি কৃষ্ণ সাগরে ইউএসএস পোর্টারের সঙ্গে (ডিডিজি 78) যোগ দেবে।”

মঙ্গলবার ক্রেমলিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খবর যে রাশিয়া ইউক্রেনের কাছে তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে, এমন খবরকে “নিম্ন-মানের বানোয়াট” খবর বলে আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছে। যদিও তারা বলেছে যে এটি মস্কোর উপর নির্ভর করে তারা কখন কোথায় তার ভূখণ্ডে সৈন্যদল সরিয়ে নেবে।

পলিটিকো সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে সোমবার বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলিকে নিশ্চিত করেছে যে রাশিয়া এই বসন্তে বড় ধরনের সম্প্রসারণের পর আবারও ইউক্রেনের সীমান্তে সৈন্য ও সামরিক শক্তি জোরদার করা শুরু করেছে।

ইউক্রেন সোমবার জানিয়েছে যে তারা সীমান্তের কাছে রাশিয়ার সেনা বা সরঞ্জামের কোন বৃদ্ধি লক্ষ্য করেনি।

নেটোর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন: "নেটো এই ব্যাপারে সজাগ রয়েছে এবং রাশিয়ার বাহিনীর গতিবিধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে।স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং কোনো ভুল পদক্ষেপ এড়ানো জরুরী।"

রাশিয়া বারবার নেটোর বিরুদ্ধে তার সীমান্তের কাছে উস্কানিমূলক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ করেছে। ঐ জোট বলেছে যে মস্কো ক্রাইমিয়া দখল করার পর এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের সমর্থন করার পরে রাশিয়ার কাছাকাছি সদস্য রাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা জোরদার করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

XS
SM
MD
LG