ইথিওপিয়া ২ নভেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর থেকে দেশটিতে ক্রমবর্ধমান গ্রেপ্তারে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার পাশাপাশি গোন্ডার, বাহির দার এবং অন্যান্য স্থানে আটককৃতদের বেশিরভাগই টিগ্রায় বংশোদ্ভূত।
মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল জেনিভায় সাংবাদিকদের বলেন,"প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত ১ হাজার লোককে আটক করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে... কিছু রিপোর্টে এই সংখ্যা অনেক বেশি।"
দুই সপ্তাহ আগে টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) যোদ্ধারা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হবার হুমকি দিলে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এর পর থেকেই এই গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলি ঘটছে।
আইনজীবীরা আরও জানিয়েছেন যে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে হাজার হাজার টিগ্রায় নাগরিককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষ "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী" সমর্থন করছে এমন সন্দেহভাজন যে কাউকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক করতে পারে।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জাতিসংঘের কর্মীও রয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও গুটেরেস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকের এক বিবৃতিতে কর্মচারীদের অবিলম্বে মুক্তির জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ডুজারিক বলেন, "যতদূর মহাসচিব অবগত আছেন, স্টাফ সদস্যদের বিনা অভিযোগে আটক করা হচ্ছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের কারণ সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য দেয়া হয়নি।"
থ্রোসেল বলেন জাতিসংঘের ১০ জন স্থানীয় স্টাফ এবং জাতিসংঘের সাবকন্ট্রাক্ট করা ৩৪ জন ড্রাইভারকে আটকে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, "আমরা যারা এখনও আটকে আছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যদি এটি না ঘটে, তাহলে "একটি আদালত বা অন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালে তাদের আটকের কারণগুলি পর্যালোচনা করা উচিত, অথবা তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা উচিত।"
তিনি বলেন যে জাতিসংঘের অধিকার সংস্থার বাকি কর্মীদের জন্য তাদের কাজ করা "চ্যালেঞ্জিং" ছিল। এই কারণেই "আমাদের কাছে অন্তত ১ হাজার লোককে আটক করার রিপোর্ট রয়েছে, কিন্তু আমরা আরও নির্দিষ্ট সংখ্যা দেয়ার অবস্থানে নেই।"