এটা প্রমাণিত যে অভ্যুত্থান পরবর্তী মিয়ানমার সাংবাদিকদের কাজের জন্যে একটি কঠিন স্থান।
ফেব্রুয়ারীতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হঠানোর দশ মাস পর এখন সাংবাদিকরা জানেন যে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে। একই সময়ে মানুষও প্রায়শই সাংবাদিকদের প্রতি বিশ্বাস আনতে পারে না কারণ তারা ভাবতে পারে সাংবাদিকরা অভ্যুত্থানের ফলাফল লুকোনোর জন্য দায়ী।
অতএব, এখন কেউ কেউ বাইরে থেকে আবার অন্যরা মিয়ানমারের ভেতরে থেকেই কাজ করছেন, তবে গোপনে।
২০০৮ সাল থেকে রেঙ্গুনে একটি আন্তর্জাতিক ফটো এজেন্সিতে কাজ করা এক ব্যক্তি বলেন, “আমার ১৩ বছরের ফটো সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় এটি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি”।
অভ্যুত্থানের অব্যবহিত পরই জান্তা সরকার সাংবাদিকদের হয়রানি শুরু করে, হুমকি দেয় এবং ব্যক্তিগতভাবে ভীতি প্রদর্শন করে। সেই থেকে এ পর্যন্ত নয়টি সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশনা লাইসেন্স বাতিল করেছে জান্তা।
সাংবাদিকরা এখন তাঁদের অফিসে কাজ করতে ভয় পান, এবং তাঁরা বলেন তাঁদের বাড়িতে বসে কাজ করাটাও নিরাপদ নয়।
লন্ডন ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় কাজ করা একজন সাংবাদিক বললেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আপনার সদর দরজায় আসতে পারে এবং আপনি যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন”।
২২শে নভেম্বর তিনি ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে কথা বলার সময় অভ্যুত্থানের পর থেকে এপার্টমেন্ট ভাড়া পেতে তার সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
বহিষ্কৃত নির্বাচিত সরকারের সময় বহু সংবাদ মাধ্যম মিয়ানমারে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কারণ তাঁরা বিদেশী গণমাধ্যমকে মিয়ানমারে অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছিল। তবে সামরিক অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি উল্টো হয়ে যায়। জান্তা তাদের অফিসে অভিযান চালানোর পর এবং রিপোর্টার ও সম্পাদকদের গ্রেফতার করার পর অনেক সংবাদ মাধ্যম তাদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেয় এবং দেশ ত্যাগ করে। মিয়ানমারে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র সাংবাদিক অবস্থান করছেন।