জিম্বাবুয়ের একটি আদালত অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং সরকারের সমালোচক হোপওয়েল চিন’ওনোর বিরুদ্ধে একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। চিন’ওনোকে গত বছর নিষিদ্ধ বিক্ষোভকে টুইটারে সমর্থন জানিয়ে, জনসাধারণের মাঝে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
স্পষ্টভাষী, পুরস্কার বিজয়ী ওই সাংবাদিককে তিনবার আটক করা হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকে সমর্থন করার অভিযোগে প্রথমবার অভিযুক্ত এবং গ্রেপ্তার হবার পর, দুই মাস তাঁকে কারাবন্দী থাকতে হয়েছিল।
নভেম্বর এবং জানুয়ারিতে ন্যায়বিচারে কথিত বাধা প্রদান এবং টুইটারে দু’টি টুইট করে, মিথ্যা তথ্য প্রকাশের অভিযোগে, তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
রাজধানী হারারের একটি হাইকোর্ট অভিযোগপত্রে অযৌক্তিক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে উল্লেখ করে, সোমবার প্রথম অভিযোগটি বাতিল করে দেয়।
বিচারক সিয়াবোনা মুসিতু তাঁর রায়ে উল্লেখ করেছেন, “চার্জশিট এবং রাষ্ট্রের রূপরেখার মধ্যে স্পষ্ট দ্বন্দ্ব চার্জশিটটিকে বাতিল এবং খারিজ করে দেয়”।
একই আদালত গত এপ্রিল মাসে চিনওনোকে মিথ্যা তথ্য প্রকাশের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল।
রায়ের পর চিনওনো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “তার মানে হচ্ছে আমার মামলা এবং গ্রেপ্তার ছিল ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো যে যুক্তি আমি বরাবরই দিয়ে এসেছি”।
“কোন অন্যায় না করেই আমি যে গত ১৫টি মাস জেল ও আদালতে কাটিয়েছি, এটা খুবই নিষ্ঠুর এবং দুঃখজনক”!
গত বছরের নভেম্বরে বিচারিক সিদ্ধান্তের আগে, একটি টুইট পোস্ট করার জন্য জনগণের ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে, চিনওনো এখনও বিচারের মুখোমুখি।
তাকে জামিনে মুক্ত করা হলেও, জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, এমন কিছু পোস্ট যাতে তিনি না করতে পারেন, তাই তার টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।