বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রস্তুতির খবরে সব স্টেডিয়াম তৈরী। ৫টি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং অন্য ৫টি ঢেলে সাজাতে সরকার প্রায় ২০০ কোটি ডলার খরচ করেছেন। শেষ মূহুর্তের কিছু কাজকর্ম চলছে সেখানে। স্থানীয় সংগঠক কমিটির প্রধান ড্যানি জর্ডান বলেছেন – এবারের বিশ্বকাপের যে ইতিহাস গড়ে উঠছে তা হলো – দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার মাঠে দীর্ঘকালের যে বৈষম্য ছিল যে ফুটবল শুধু কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের খেলা যে কারণে কর্তৃপক্ষ ফুটবলের দিকে তেমন নজর দিতেন না, সেই বৈষম্যের অবসান হবে। সেইসঙ্গে জর্ডান একথাও বলেন যে বিভিন্ন বর্ণ সম্প্রদায়ের মানুষ এখন ফুটবলে মেতে উঠেছে।
জর্ডান বলেন “আমরা এমন এক জাতি যার অতীতে ভেদাভেদ ছিল, ছিল সংঘর্ষ ঠিক যুদ্ধের মত অবস্থা ছিল। আর তাই, এ দেশের গনতনত্রকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য, দেশের অর্থনৈতিক পরিবৃদ্ধির মজবুত বুনিয়াদ গড়ে তোলার জন্য - বর্নবৈষম্য মুক্ত নতুন এক ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”।
আর্জেন্টিনার কোচ বাংলাদেশ ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার জনপ্রিয় ফুটবল তারকা দিয়েগো মারাদোনা জোহানেসবার্গের ৯০ হাজার দর্শক আসনের স্টেডিয়াম সরেজমিনে ঘুরে এসে খুবই খুশী। স্প্যানিশ ভাষায় মারাদোনা বলেন –
“স্টেডিয়ামের ব্যাপারটা বিরাট একটা বিষয়। এ ধরণের বিশাল আয়োজনে সমৃদ্ধ স্টেডিয়াম পৃথিবীর খুব কম জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায়”।
আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফার সেক্রেটারী জেনারেল জেরোম ভালকে বলেছেন, সব প্রস্তুতির সময় সীমা অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে। ফিফা কখনোই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অন্য কোন দেশে এই বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করেনি।
“একটা সময় আসে যখন লোকজনকে কিছু বিশ্বাস করানোর আর প্রয়োজন হয় না। কারণ আমরা সেই প্রথম দিন থেকেই, অর্থাৎ ২০০৪ সালের ১৫ই মে থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সবাইকে বোঝাতে যে ফিফার বিধান অনুযায়ী সব কাজ করা হচ্ছে। আমরা যথাসাধ্য করেছি এবং এখনও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তা হলে সেটা দুঃখজনক”।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীদের কিছুই বোঝানোর প্রয়োজন হয়নি। তারা শুধু বলছেন – “আফ্রিকা এখন প্রস্তুত। আসুন আমাদের সমর্থন জানান”।
চারিদিকে হৈ চৈ বিশ্বকাপ আর বিশ্ব কাপ।