যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরশুক্রবার জানায়, আফ্রিকা শৃঙ্গের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত আফ্রিকার দুটি দেশের চলমান বৈরিতার মাঝেই আগামী সপ্তাহে সৌদি আরব, সুদান ও ইথিওপিয়া সফর করবেন।
ডেভিড স্যাটারফিল্ড এবং সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মলি ফি জানুয়ারির ১৭ থেকে ২০ তারিখে রিয়াদ, খার্তুম ও আদিস আবাবা সফর করবেন।
রিয়াদে তাঁরা "ফ্রেন্ডস অফ সুদান" নামের একটি গ্ৰুপ যারা অক্টোবরের সামরিক অভ্যুথানের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানাচ্ছে, তাদের সঙ্গে মিলিত হবেন।
বিবৃতিতে জানানো হয় এই বৈঠকের লক্ষ্য, জাতিসংঘ মিশনের অনুকূলে আন্তর্জাতিক সমর্থন গড়ে তোলা, যা সুদানে জনগণের নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নবজীবন দিতে সহায়তা করবে।
স্যাটারফিল্ড ও ফি পরে খার্তুম সফর করবেন এবং গণতন্ত্রপন্থী সক্রিয়বাদী, নারী ও যুবকদের গ্ৰুপ, সুশীল সংগঠন, সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলিত হবেন। বিবৃতিতে বলা হয়, "তাদের বার্তা হবে স্পষ্ট, যুক্তরাষ্ট্র সুদানের জনগণের স্বাধীনতা, শান্তি ও সুবিচারের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে"।
ইথিওপিয়ায় দুই নেতা সেখানকার তীব্রতর গৃহযুদ্ধের নিস্পত্তির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আবী আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হবেন।
তুরস্কে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, স্যাটারফিল্ড বিশেষ দূত হিসাবে ৬ই জানুয়ারী জেফ্রি ফেল্টম্যানের স্থলাভিষিক্ত হন।
টিগ্রায়ের বিদ্রোহীদের প্রত্যাহারের পর, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনাকে উৎসাহিত করতে ইথিওপিয়া সফর করার পর পরই ফেল্টম্যান পদত্যাগ করেন।
টিগ্রায়ান পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট গত বছর আদিস আবাবা পর্যন্ত মার্চ করে আসার হুমকি দিয়েছিলো, তবে ডিসেম্বরে তারা তাদের শক্তঘাঁটিতে ফিরে যায়। তবে সরকার বিদ্রোহীদের তাড়া করে নি।
ফেল্টম্যান সুদান সঙ্কট মোচনেও চেষ্টা করেন।সুদানের প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামাদক পদ থেকে সরে দাঁড়াবার কয়েকদিন পরেই ফেল্টম্যান পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৯ সালে নেয়া গণতান্ত্রিক হস্তান্তরকে রক্ষা করার পশ্চিমি আহ্বান সত্ত্বেও, দেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসাবে আবির্ভুত হন জেনারেল আব্দুল ফাতাহ আল বুরহান।
[[এএফপি]]