যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের কর্মকর্তারা ভিয়েনার আলোচনাকে ফলপ্রসূ বলছেন । এই দু পক্ষই এবং ২০১৫ সালের ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে স্বাক্ষরকারী অন্যান্যরাও ঐ চুক্তিকে চাঙ্গা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন এখনই প্রত্যক্ষ আলোচনার কোন প্রত্যাশা নেই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র “ তাদের প্রতি উন্মুক্ত কারণ যুক্তরাষ্ট্র কুটনৈতিক ব্যাপারে উন্মুক্ত”। তিনি বলেন, “ আমরা যখন এটা বোঝার চেষ্টা করছি যে সেই চুক্তিতে ফিরে যাবার জন্য ইরান চুক্তির ঠিক কি মানতে প্রস্তুত তখন ভিয়েনার বৈঠকগুলো হচ্ছে এর জন্য সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ”। ঐ চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেয়ার বিনিময়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার কথা আছে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং এই পদক্ষেপের কারণে ইরানের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আর এরই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের বিশাল মওজুদ তৈরি করে এবং তা আরও উচ্চপর্যায়ে পরিশোধিত করতে থাকে । দু পক্ষই চুক্তি সম্পূর্ণ মেনে চলার ব্যাপারে তাদের ইচ্ছের আভাস দিয়েছে তবে কেউই এ ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেনি। ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গতকাল এই আলোচনা শুরু হওয়াকে গঠনমূলক বৈঠক বলে অভিহিত করেছেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকে বলেন যে এই আলোচনা এ ব্যাপারে নতুন অধ্য়ায়ের সূচনা করলো যে সকল পক্ষই ঐ চুক্তিকে স্বীকৃতি দিক।