যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি বলছে তারা নর্ড স্ট্রিম টু’ সম্পন্ন করার ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌছেছে। এটি হচ্ছে ইউরোপে রাশিয়ার বিতর্কিত গ্যাস লাইন। এর বিরোধীরা বলছেন এই প্রকল্প ইউক্রেন এবং অন্যান্য পূর্ব ও মধ্য ইউরোপীয় দেশগুলোর জ্বালানি শক্তি সুরক্ষাকে খর্ব করছে।
অনুমান করা হচ্ছে এই চুক্তি সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসের কাছ থেকে কঠিন প্রতিরোধের সম্মুখীন হবে। এই প্রকল্প বন্ধের জন্য কংগ্রেস এর আগে উভয় দলের ব্যাপক সমর্থনে নিষেধাজ্ঞা আইন পাশ করেছিল।
২১শে জুলাই এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি বলেছে তারা কয়েকটি পদক্ষেপের বিষয়ে সহমত যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার উপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ যার লক্ষ্য হবে ক্রেমলিন সমর্থিত প্রকল্প সম্পন্ন হলেও ইউক্রেনের বাজেট এবং তার নিরাপত্তার উপর যে কোন প্রতিক্রিয়া কমিয়ে আনা।
নর্ড স্ট্রিম টু হচ্ছে দুটি সমান্তরাল পাইপলাইন যার প্রত্যেকটি বল্টিক সাগর বরাবর ১২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত যা ইউক্রেন ও পোল্যান্ডকে এড়িয়ে, রাশিয়ার আর্কটিক প্রাকৃতিক গ্যাস জার্মানিতে পৌঁছে দেয়া। আর এর ফলে কিইভ সরকার বছরে ২০০ কোটি ডলার বার্ষিক ট্রান্সিট ফি থেকে বঞ্চিত হবে।
সমালোচকরা আরও বলছেন যে এই প্রকল্প ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে খর্ব করছে। তাঁদের যুক্ত হলো রাশিয়া যদি গ্যাস পরিবহনের জন্য দেশটির উপর নির্ভরশীল না হয় তা হলে সে ক্ষুদ্র প্রতিবেশির প্রতি আরও আগ্রাসী ভূমিকা নিতে পারে। ঐ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাশিয়া যদি জ্বালানি শক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায় কিংবা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী ভুমিকা গ্রহণ করে, তা হ’লে জার্মানি জাতীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা নেবে এবং ইউরোপীয় পর্যায়েও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে চাপ দেবে যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, গাস সহ জ্বালানি খাতে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ভাবে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে ইউরোপে রুশ রপ্তানী সীমিত করা"।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার বর্তমান ট্রানজিট চুক্তি, যা ২০২৪ সালে শেষ হচ্ছে তা আরও ১০ বছর বাড়ানোর ব্যাপারে আলাপ আলোচনার জন্য জার্মানি একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করবে। জার্মান চান্সালার আঙ্গেলা মার্কেল দিনে আরও আগের দিকে এই চুক্তি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা দ্রুতই এই চুক্তির বিরোধীতা করেন।