আজ খুব ভোরে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের বাহিনী সিরিয়ায় যে সুনির্দিষ্ট বিমান আঘাত হেনেছে বিশ্বে তা একদিকে সমর্থন পেয়েছে, অন্যদিকে এর তীব্র সমালোচনা হয়েছে। এই মুহুর্তে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পশ্চিমি যুদ্ধ বিমানগুলো এবং নৌ বাহিনীর জাহাজ সিরিয়ার তিনটি রাসায়নিক অস্ত্র স্থানে অনেকগুলো ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং মনে করা হচ্ছে কেবলই সূচনা এবং শেষ পর্যন্ত তা প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি অব্যাহত অভিযানে পরিণত হবে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে বলেন :
ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে বলেন যে ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং তার সরকার সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূল করার প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন । আসাদের সাম্প্রতিক আক্রমণ , আর আজ তার পাল্টা জবাবের কারণ হচ্ছে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে রাশিয়ার ব্যর্থতা। রাশিয়াকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা অন্ধকার পথে চলা অব্যাহত রাখবে , নাকি তারা শান্তি ও সভ্যতার জন্য সভ্য জাতিগুলোর সঙ্গে শক্তি হিসেবে যুক্ত হবে।
আজ টেলিভিশনে প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটেনের প্রদানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন যে এই সমন্বিত আক্রমণের উদ্দেশ্য সে খানে সরকার পরিবর্তন ঘটানো নয় বরঞ্চ আসাদ সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্র থেকে বিরত রাখা। তিনি আরও বলেন যে সিরিয়ার শাসকরা যখন নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।
প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ এক বিবৃতিতে বলেছেন আমরা রাসায়নিক অস্ত্রের এই ব্যবহারকে স্বাভাবিক ভাবে দেখতে পারিনা। তিনি আরও বলেন যে সিরীয় সরকারের ব্যাপারে বাস্তবতা এবং তাদের দায় নিয়ে কোন সংশয় নেই ।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন যে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে এই আভিযান শুরু হয় ওয়াশিংটন সময়ে শুক্রবার রাত ৯টায়। রাজধানী দামেস্ক এবং হমস শহরে , সিরিয়ার রাসয়নিক অস্ত্রের স্থাপনার উপর শত শত ক্রুজ ক্ষেপসনাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জিম ম্যাটিস পেন্টাগন সংবাদদাতাদের বলেছেন যে এখন একটিবার অভিযান চালানো হয়েছে , কিন্তু হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে আরও অভিযান চলতে পারে।