যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন আজ শনিবার তাদের নাগরিকদের জন্য জারি করা এক নির্দেশিকায় তাদেরকে বানিজ্যিক ফ্লাইটে করে অবিলম্বে আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসতে বলছে। কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রেক্ষপটে এবং দূতবাসে কর্মিদের সংখ্যা কমে যাওয়ায়, এমন কী কাবুলের ভেতরেও আমেরিকান নাগরিকদের সহায্য করার জন্য দূতাবাসের ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত এই নির্দেশ দেয়া হচ্ছে”।
এই নির্দেশিকাগুলি এ দুটি দেশেরই আগেকার অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ । এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সকল কর্মী যারা অন্য কোথাও থেকেও কাজ করতে পারেন তাদেরকে আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল।
ব্রিটিশ দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেন, “ আমরা এ ব্যাপারে আগাগোড়াই পরিস্কার ভাবে বলে এসেছি যে এখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনিশ্চিত”।
বিদেশি সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হবে এই ঘোষণার পর থেকে আফগানিস্তানে সহিংসতা ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। তালিবান দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু সীমান্ত এলাকাসহ, তাদের দখলে নেয়া অঞ্চলের পরিমাণ এখন প্রায় দ্বিগুণ করেছে।
সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে হত্যার সংখ্যা এখন প্রায় আকাশচুম্বি। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময়ে সরকারের সংবাদ মাধ্যম ও তথ্য কেন্দ্রের পরিচালক দাওয়া খানকে হত্যা করা হয়।
শুক্রবার একটি প্রাদেশিক রাজধানী জরাঞ্জ দখলের পর আজ শনিবার তালিবান জঙ্গিরা দ্বিতীয় আরেকটি প্রাদেশিক রাজধানী শেবেরগাঞ্জ দখল করেছে। শেবেরগাঞ্জ হচ্ছে জাওজান প্রদেশের রাজধানী। সামাজিক মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে শহরের আশে পাশে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করলে জাওজান কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়ে যাচ্ছে।
কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আজ শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শহরগুলোর উপর তালিবানের আগ্রাসনের নিন্দে করেছে এবং জঙ্গিদের অস্ত্র বিরতি মেনে নিয়ে শান্তি আলোচনায় সম্পৃক্ত হবার আহ্বান জানিয়েছে।