গত জুলাই মাসে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদের শাসন ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রবিবার, কয়েক শত বিক্ষোভকারী কড়া পুলিশের উপস্থিতিতে তিউনিসে সমবেত হয় এবং তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানায়। সায়েদ, এই সপ্তাহে ২০১৪ সালের সংবিধানের অনেক কিছু উপেক্ষা করেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দুই মাস পরে ডিক্রি দিয়ে নিজেকে শাসন করার ক্ষমতা দেন, সংসদ স্থগিত করেন এবং নির্বাহী কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন I
"জনগণ অভ্যুত্থানের পতন চায়",তারা তিউনিসের কেন্দ্রস্থলে হাবিব বুরগুইবা এভিনিউ বরাবর স্লোগান তোলে, এটাই সেই বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু যা পহেলা জানুয়ারী, ২০১১ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জেইন এল আবেদীন বেন আলীর শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলI তাদের স্লোগান ছিল,"পদত্যাগ করুন"।
সংকটটি গণতান্ত্রিক অর্জনকে বিপন্ন করেছে, যা ২০১১ সালের বিপ্লবে তিউনিশিয়ানরা অর্জন করেছিল যা "আরব বসন্ত" বিক্ষোভের সূচনা করে এবং বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন কোরে পাবলিক ফাইন্যান্সের জন্য জরুরি হুমকি মোকাবেলার প্রচেষ্টাও মন্থর করেছেI
"তিনি [সাইয়েদ] একজন স্বৈরশাসক, যিনি বিপ্লবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন এবং গণতন্ত্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন।তিনি সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন, এটি একটি অভ্যুত্থান এবং আমরা অভ্যুত্থানকে রাস্তায় নামিয়ে আনব।"
সাইয়েদ বলেছেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থা, অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং করোনাভাইরাস মহামারীর দুর্বল প্রতিক্রিয়া মোকাবেলার জন্য তাঁর পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল। তিনি অধিকার সমুন্নত রাখার এবং একনায়ক না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিউনিসিয়ার প্রভাবশালী শ্রমিক ইউনিয়ন, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি কাইস সাইদের সর্বমোট ক্ষমতা দখলের মূল উপাদানগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে এবং যাকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক হুমকি বলে হুশিয়ার করে দিয়েছে, বিরোধীরা যে পদক্ষেপ নেয়াতে শত্রুপক্ষ সেই পদক্ষেপকে অভ্যুথান বলে অভিহিত করেI
২৫শে জুলাই তাঁর হস্তক্ষেপের পর, গত সপ্তাহে সাইদের বিরুদ্ধে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়