টোঙ্গার কাছে একটি ডুবো আগ্নেয়গিরিতে আজ শনিবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এরপর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের বেশ কয়েকটি দেশের জন্য সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফুটেজে বিশাল ঢেউ বাড়িঘরে আছড়ে পড়তে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সুনামি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জানায়, টোঙ্গা ও আমেরিকান সামোয়ার রাজধানীতে সুনামির ঢেউ লক্ষ্য করা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানায়, শনিবার গ্রিনিচ মান সময় ৪টা ১০ মিনিটে নুকুয়ালোফার ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে হুনগা টোঙ্গা-হুনগা হাপাই পানির নিচের আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে ১ দশমিক ২ মিটার সুনামির সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার একই আগ্নেয়গিরি থেকে ৩০ সেন্টিমিটারের ছোট ধরনের সুনামির সৃষ্টি হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, তারা পরিস্থিতির ওপর অব্যাহত নজর রাখেন, তবে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড, দ্বীপাঞ্চল বা কোনো অঞ্চলের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানায়, আমেরিকান সামোয়ার রাজধানী পাগো পাগোতেও ৬১ সেন্টিমিটারের সুনামি ঢেউ পরিলক্ষিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা পরে আমেরিকান সামোয়া অঞ্চলের জন্য হুঁশিয়ারি বাতিল করে দেয়।
টোঙ্গা থেকে ৮০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে, ফিজিতেও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের শব্দ শোনা যায়। কর্তৃপক্ষ সেখানে সুনামি সতর্কতা জারি করে এবং তীব্র স্রোত ও বিপজ্জনক ঢেউয়ের কারণে উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়।
নিউজিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনা এজেন্সি তাদের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের জন্য শক্তিশালী ও অস্বাভাবিক স্রোত এবং তীরে অপ্রত্যাশিত ঢেউয়ের আশংকায় সুনামি বিষয়ে পরামর্শ বার্তা জারি করেছিল।
শুক্রবারের আগ্নেয়গিরি ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসে ছাই, ধোঁয়া গ্যাস পৌঁছে যায়। টোঙ্গা ভূতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা সংস্থা ফেসবুক মাধ্যমে জানায় এর ব্যাসার্ধ ছিল ২৬০ কিলোমিটার।
[[রয়টার্স]]