হতবাক করে দেওয়ার মতো সামরিক বিজয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসার এক সপ্তাহ পরেও,বিদ্রোহী তালিবান গোষ্ঠীর নেতারা সমন্বিত একটি ইসলামপন্থি সরকার গঠনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে ব্যাপারে প্রাক্তন প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেনI তালিবান কর্মকর্তারা শনিবার, কাবুলে জানান, নতুন সরকার গঠনের একটি পরিকাঠামো শীঘ্রই জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই গোষ্ঠির রাজনৈতিক মুখপাত্র, মোহাম্মদ নাঈম বলেন, ঊর্র্ধ্বতন তালিবান নেতারা শনিবার রাজধানী কাবুলে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সরকার গঠনের ব্যাপারে মতামত বিনিময় করেনI
তিনি উর্ধতন একজন নেতা, শাহাবুদ্দিন দিলওয়ারের মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, যে তিনি আফগান মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন" আফগানিস্তান, একটি জোরালো কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা আশা করে, যেখানে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে, যা হবে দুর্নীতিমুক্ত এবং যেখানে প্রতিটি আফগান নাগরিক দেশ ও জনগণের সেবার সুযোগ পাবেন"I
যারা প্রাক্তন সরকারের অধীনে কাজ করেছেন বা প্রাক্তন প্রশাসনের অংশ ছিলেন, তাদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা মনজুরের পর তালিবান রাজনৈতিক আলোচনা শুরু করেI
তালিবানের উপ-নেতা, মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার, ইসলামী গোষ্ঠীটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শক্তঘাঁটি, কান্দাহার থেকে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া তদারকি করতে, কাবুলে এসে পৌঁছানI তালিবান গোষ্ঠীর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বারাদার, এ সপ্তাহেই কাতার থেকে আফগানিস্তানে ফিরে আসেনI কাতারে তিনি তালিবানের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রাখেন যার ফলে২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের সেই যুগান্তকারী চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তি আফগনিস্তানে প্রায় ২০ বছরের যুদ্ধের পর, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সেনা প্রত্যাহারের পথ সুগম করে দিয়েছিলোI