তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন রবিবার বেইজিংয়ের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তাইওয়ান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা অব্যাহত রাখবে যাতে নিশ্চিত হয় যে চীন যে পথ দ্বীপটিকে গ্রহণ করতে বাধ্য করতে চায় তা তারা পারবে না , যা তাদেরকে গণতন্ত্র বা স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি কোনোটিই দেয় না।
চীন যাকে তাদের অঞ্চল বলে দাবি করে, সেই তাইওয়ান বেইজিংয়ের শাসন মানতে এখন বর্ধিত সামরিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে, যাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরোধ চিহ্নিতকরণ জোন লক্ষ্য করে চীনের উপর্যুপুরি বিমান মিশন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক উদ্বেগI
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শনিবার তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনঃএকত্রীকরণ বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন, তবে সরাসরি শক্তি প্রয়োগের কোনো উল্লেখ করেন নিI এতদসত্ত্বেও তিনি তাইওয়ানের ক্রোধ সম্বলিত প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হনI তাইওয়ান জানিয়েছে যে শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেI
জাতীয় দিবসের সমাবেশে প্রেসিডেন্ট সাই বলেন, তিনি তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনার প্রশমন দেখতে চান এবং পুনর্ব্যক্ত করেন যে তাইওয়ান হঠাৎ করে কোনো ব্যবস্থা নেবে না।মধ্য তাইপেই'র প্রেসিডেন্টের দপ্তরের বাইরে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, "অবশ্যই এমন কোনো ভ্রান্ত ধারণা থাকা উচিত নয় যে তাইওয়ানের জনগণ চাপে মাথা নোয়াবে"I
তিনি বলেন, তাইওয়ান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা অব্যাহত রাখবে এবং আমাদের প্রত্যয় প্রদর্শন করবে যাতে নিশ্চিত হয় যে চীন যে পথ দ্বীপটিকে গ্রহণ করতে বাধ্য করতে চায় তা তারা পারবে নাIএর কারণ চীন যে পথ নিতে আমাদের বাধ্য করতে চায়, তা তাইওয়ানের জন্য মুক্ত বা গণতান্ত্রিক জীবনের বা ২কোটি ৩০ লক্ষ লোকের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দেয় নাI
চীন তাইওয়ানের জন্য 'এক দেশ দুই ব্যবস্থা" স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব দিয়েছে, যেমনটি তারা হংকংকে দিয়েছেI তবে বিশেষ করে প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে চীনের নিরাপত্তা দমন নীতির পর, তাইওয়ানের সবকটি প্রধান রাজনৈতিক দল চীনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেI
প্রেসিডেন্ট সাই সমতার ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যদিও বেইজিংয়ের তরফ থেকে তার ভাষণের তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া শোনা যায় নিII