সুদানের নিরাপত্তা বাহিনী সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ৭জন অভ্যুত্থান বিরোধী প্রতিবাদকারীকে হত্যা করেছে।এটি ছিল সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সাম্প্রতিক বিক্ষোভ-সমাবেশের অন্যতম মারাত্মক একটি দিন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, সেখানকার নিরাপত্তা প্রধানেরা যাদের "বিশৃঙ্খলার" জন্য দায়ী করেছেন, তাদের ব্যাপারে হিসাব রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের দেশটি সফরে প্রাক্কালে সর্ব সাম্প্রতিক এই সহিংসতার খবর এলো। ওয়াশিংটন আফ্রিকার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এই দেশটির কয়েক মাসব্যাপী চলা সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর জেনারেল আবদেল ফাতাহ বুরহানের নেতৃত্বে দেশটিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সোমবার প্রতিবাদকারীদের মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৭১ এ।
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। এর ফলে ২০১৯ সালে দীর্ঘকালের স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার যে ভঙ্গুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা থেমে যায়।
সোমবার খার্তুমের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে অভ্যুথান বিরোধী চিকিৎসকেরা বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণকারী সামরিক কাউন্সিলের মিলিশিয়াদের তাজা বুলেটে তিনজন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন।
.সুদানের চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি (ইনডিপেনডেন্ট সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদান ডক্টরস) জানায়, পরে আরও চারজন নিহত হয় এবং কমিটি বলে "অভ্যুত্থান কর্তৃপক্ষের গণহত্যার সময় তারা বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে চাইছিল”।
সুদানের স্বার্বভৌম কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার বুরহান নিরাপত্তা প্রধানদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেছেন এবং সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী গঠনে সম্মত হয়েছেন।
আফ্রিকা শৃঙ্গের জন্য যুক্তরাষ্টের বিশেষ দূত ডেভিড সাটারফিল্ড ও পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলি ফি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দেশটি সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বুরহান জোর দিয়ে বলেছেন, সামরিকপদক্ষেপ “কোনো অভ্যুথান নয়”। উদ্দেশ্য ছিল আল বশিরের ক্ষমতাচ্যুতির পরে রূপান্তরের পথকে শোধরানো।
এ মাসের শুরুতে সুদানের বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদোক পদত্যাগ করেন । তিনি জানান দেশটি এখন "বিপদজ্জনক এক সন্ধিক্ষণে এবং তার অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে"।
[এএফপি]